১৩, নভেম্বর, ২০২৪, বুধবার
     

মুরাদনগর নূরুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের এক আতঙ্কের নাম প্রানজিত

মো: কামরুজ্জামান বাবু,কুমিল্লা:
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার সদরে অবস্থিত মুরাদনগর নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক আতঙ্কের নাম এখন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রানজিত কুমার মজুমদার।

প্রানজিত কুমার মজুমদার মেয়েদের গায়ে যখন তখন হাত দিয়ে থাকে। উনি যখন ক্লাসে যায় মেয়েরা সামনে না বসে পিছনে বসে থাকে। ক্লাসে পড়া বুঝানোর কৌশলে মেয়েদের পিঠে সহ বিভিন্ন স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দিয়ে থাকে।

শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এক ছাত্রী বলে, “আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ঘটনাটি আমার সাথে ঘটেনি। আমার এক বড় আপুর সাথে ঘটেছে। উনি এখন পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে চলে গিয়েছে। প্রানজিত স্যার উনার পিঠে হাত দেয় এবং বলে তুমি জামার নিচে কি পড়েছ? আপু তখন রেগে স্যার কে বলে আপনার বউ যা পরেছে আমিও তাই পড়েছি।” অপর আরেক ছাত্রী বলেন, ” স্যার একদিন আমার হাতে ধরে বলে তোমার হাত এত নরম কেন? এবং উনি যেভাবে আমার হাত ধরেছে আমার বাবা ও আমার হাত এভাবে ধরেনি।”

ছাত্রীদের অভিযোগ হল আমরা যদি আমাদের শিক্ষকের কাছে হেফাজত না থাকি তাহলে আর কোথায় হেফাজত থাকবো?অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় উনি নাকি প্রাইভেটেও মেয়েদের সাথে একই আচরণ করে থাকে। উনার কাছে প্রাইভেট না পড়লে উনি মেয়েদেরকে বিভিন্ন আপত্তিকর ভাষায় কথা বলে থাকে। প্রানজিত স্যার সম্পর্কে ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকার কাছে আবেদন করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান।

প্রধান শিক্ষিকার ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। মেয়েরা প্রানজিত স্যার সম্পর্কে এসব কথা প্রকাশ করলে প্রানজিত স্যার সহ কিছু শিক্ষক মেয়েদের বাসায় গিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রানজিত স্যারের ভাইয়েরা নাকি ছাত্রীদের বাসায় গিয়ে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। এবং স্যারের নামে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা বলার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। অনেক মেয়ে ভয়ে বাসা থেকে বের হচ্ছে না তাদের বলা হচ্ছে বাসা থেকে বের হলে অপহরণ করা হবে।

অভিভাবকরা এখন তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত। গত ২৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করা হলেও এখনো বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।

               

সর্বশেষ নিউজ