২১, ডিসেম্বর, ২০২৪, শনিবার
     

‘পরীক্ষা কমিটিতে আছি এবার, ভাইভা পার হবি কীভাবে দেখে নিব’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশিক্ষকসুলভ আচরণ, মানসিক হেনস্তা ও অযাচিত সেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের কাছে অভিযোগপত্র ও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পরে বেলা পৌনে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জড় হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে ‘আগে সিজি বাড়ান পরে শিক্ষক হন’, ‘থিওরি দিয়ে ল্যাব নয়, হাতে কলমে ল্যাব হয়’, ‘পরিক্ষা কমিটিতে আছি, ভাইবা পার হবি কীভাবে দেখে নিব?’, ‘স্যার আপনার সিজি কত?’, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ খাতায় কেন?’, ‘২,১ এ আমার কোর্স আছে পাস কেমনে করস দেখে নেব’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আগে শিখুন পরে শিখান’, ‘মাই ল্যাব মাই রুলস’, ‘সিজিপিএ বিলো ৩, কিভাবে শিক্ষক হয়?’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।

অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সামান্য ভুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেটে দেওয়া, ভাইভাতে বৈষম্য ও হেনস্থা করা, ব্যক্তিগত আক্রোশে খাতায় কম নাম্বার দেওয়া। এছাড়া ল্যাবে কিছু না শিখিয়ে অযথা চিল্লাচিল্লি ও ভয় দেখানো, প্রশ্ন করলে উত্তর না দিয়ে অপমান করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, সব সময় শিক্ষার্থীদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছেন অনীক কৃষ্ণ কর্মকার। শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার মতামত প্রদর্শন করলে তিনি তাদেরকে পরিবার নিয়ে অপমান করেন। তিনি শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশিক্ষকসুলভ আচরণ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ‘আমার কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে ব্যাক্তিগত আক্রোশ নেই। তারা কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এ বিষয়েও আমার কিছু জানা নেই।

               

সর্বশেষ নিউজ