সজীব সিকদার:
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সালধ গ্রামের প্রাবাসী মিজানুর রহমান এর স্ত্রী তানজিলা মেহজাবিন তানিয়ার নামে এক গ্রহবধু আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় প্রধান আসামি ভেদেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা বি এম রানাকে (২৭) কে দীর্ঘ ১০ মাস পরে আটক করেছেন ভেদেরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে শরীয়তপুরের বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতে আসামি রানাকে হাজির করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন বাসুদেবপুর গ্রামের বিল্লাল বেপারীর ছেলে বকাটে রানা দীর্ঘ দিন ধরে গ্রহবধু প্রবাসী স্ত্রী তানজিলা মেহজাবিন তানিয়া পিছু নিয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করতেন, একপর্যায়ে প্রবাসী স্ত্রী সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তার কাছ থেকে সকল ধরনের সুজুগ সুবিধা ভোগ করে ,পরে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেট ছড়িয়েদেওয়ার হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখান একপর্যায়ে প্রবাসী স্ত্রী তানজিলা মেহজাবিন তানিয়া আত্মা হত্যার পথ বেছেনেন।
এ ঘটনায় মেয়ে তানজিল মেহেজাবিন তানিয়া পিতা বাবুল সরদার বাদী হয়ে শরীয়তপুরের বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতে মালা দায়ের করলে দীর্ঘ ১০ মাস পরে তাকে আটক করেন ভেদেগঞ্জ থানা পুলিশ।
৫ আগস্টের পর থেকে আসামি ও আসামির পরিবার বিভিন্ন দলের পরিচয় দিয়ে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকিধামকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মেয়ের পিতা বাবুল সরদার।
মামলার বাদী বলেন আমার মেয়ের পিছু নিয়ে বিভিন্ন ভাবে উতাক্ত করে আমার মেয়েকে আত্মহত্যার করতে বাধ্য করেন রানা ,এখন মামলা করায় হুমকি ধামকি শিকার হচ্ছি আমরা আমাদের পরিবার নিরাপত্তা হীনতার শিকার হচ্ছে তাই প্রশাসনের সহযোগী কামনা করছি।
এদিকে জেলা বি এনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান ভুট্টো মজুমদার বলেন কোনো অপরাধী এস্থান আমদের দলে নেই।