দীর্ঘ ৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এলাকায় উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানালেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিজ বাড়ির দরজায় পৌঁছালে পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদেরকে স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে “বীর মুক্তিযোদ্ধা” স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান করেন তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
নিজ বাড়ী থেকে ওবায়দুল কাদের ছুটে আসেন বসুরহাট ডাক বাংলোস্থ শহীদ বীর উত্তম মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ প্রীতি
অনুষ্ঠানে।
এখানে তিনি কোন বক্তব্য না রেখে বলেন, নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমি কথা দিয়ে এসেছি, কোন অনুষ্ঠানে আমি কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দেব না। শুধু সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি। আমার দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতিতায় এখানে অনেক কিছুই ঘটে গেছে, দুটি প্রাণও গেছে। তারপরও সব কিছু ভুলে গিয়ে সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যাবশ্যক। আজ আমি এখানে এসে ঐক্যের শুভ সুচনা করলাম।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ঈদ প্রীতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী তিন ভাগনে উপজেলা আওয়ামী লীগের
মুখপত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন প্রমূখ।
এর আগে নিজ বাড়িতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনে মানুষ হাসে। গত ১৩ বছরে বিএনপি ২৬ বার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ১৩ বছরে পারলা না, কোন বছর পারবে? তাদের আন্দোলনের বিষয়ে সবারই প্রশ্ন- এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর!
প্রসঙ্গত, দলীয় নেত্রীর আদেশ ও নিজের অসুস্থতার কারণে গত ৩৩ মাস (২০১৯ সাল) সালে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা) আসতে পারেননি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপন করতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।