২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর করার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৮৮টি মিসাইল ইউক্রেনে আঘাত হেনেছে বলে এর আগে অভিযোগ করেছিল ইউক্রেন। তবে এসব মিসাইল শুধু রুশ ভূখন্ড নয়, বেলারুশ থেকেও ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সরাসরি রাশিয়ার পক্ষ নিলেও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই বলে বরাবরই জানিয়ে আসছে বেলারুশ। যদিও দেশটির সম্প্রতি নেওয়া কিছু পদক্ষেপ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যোগ দেওয়ার গুজব আরও উসকে দিচ্ছে।
সম্প্রতি বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের সীমান্তে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করবে বলে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলেভিচের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা দেশটির সীমান্তে তাদের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করে চলেছে বলেই ওই বিশেষবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভিক্টর গুলেভিচ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ দিকে বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, বিশেষ অপারেশন বাহিনীর ইউনিটের বাহিনীকে তিনটি কৌশলগত দিকনির্দেশনায় মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেন সরকার বেলারুশ সীমান্তের কাছে ২০ হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে। তার প্রতিক্রিয়া জানাতেই পালটা সেনা পাঠাচ্ছে বেলারুশ।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের যুদ্ধ প্রস্তুতি যাচাই করার জন্য চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ করে মহড়া শুরু করার পর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তারাও যোগ দিতে পারে বলে গুজব ওঠে। এবার ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন সেই গুজবই উসকে দিচ্ছে।
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে ভুয়া খবরের বিষয়ে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানিয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, আমি বহুবার বলেছি, ইউক্রেনে লড়াই করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। কিন্তু এ বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ এটি এখন সবচেয়ে গরম খবর।
তিনি বলেছিলেন, জিনগতভাবে বেলারুশের জনগণ যুদ্ধ সহ্য করে না। তাই আমাদের শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
লুকাশেঙ্কো আরও বলেছিলেন, আমাদের যুদ্ধে টেনে নেওয়া যেতে পারে এক উপায়ে। আর সেটি হলো— যদি তারা আমাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে বা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামে। আর এ কারণেই তাই আমি চোখ-কান খোলা রাখছি।