২১, ডিসেম্বর, ২০২৪, শনিবার
     

রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগ নিতে পারে জঙ্গিরা

সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছরপূর্তি আজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলার ৪ শতাধিক স্পটে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আত্মপ্রকাশ ঘটে।

ওই সময় পুলিশ ও র‌্যাব সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে জেএমবির সহস্রাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে। ফাঁসি কার্যকর করা হয় সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। তারপরও থেমে নেই জঙ্গি তৎপরতা।

সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যারা হিজরত (জঙ্গি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে বাড়ি ছাড়ছে) করছে তাদের মধ্যে প্রতি মাসেই এক-দুজন ধরা পড়ছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গিরা এখন বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন সাইটে লোন অফ (এককভাবে) হামলার প্রচারণা চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এটিবি) প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ (চাকরিচ্যুত মেজর) পলাতক জঙ্গিরা। তিনি দেশে নাকি বিদেশে আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলা হয়। সব মামলারই তদন্ত শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১০২টি মামলায় রায় হয়েছে। ৪১টি মামলা তদন্তাধীন। ১৬টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। মামলাগুলোতে আসামির সংখ্যা ছিল ৮৩০ জন। এদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৬০ জনকে। বিভিন্ন মামলায় খালাস পেয়েছেন ৩৫৮ জন। তদন্ত শেষে ৭৩৮ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৩৩৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্যে পলাতক জামিন পেয়েছেন ১৩৩ জন। জামিনের পর পলাতক আছেন ৫০ জন। ফাঁসির দণ্ড হয়েছে ১৫ জনের।

আজ সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ : দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। বুধবার বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেস ক্লাব ও জিরো পয়েন্ট হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে।-যুগান্তর

               

সর্বশেষ নিউজ