সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নানা সংকট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের উপরেও। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমার ধারনা পাপন-সুজনের অত্যাচার আর খবরদারিত্ব থেকে বাচার জন্যই সাকিব আওয়ামী লীগ-পন্থী হয়েছেন। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহ না থাকলে বহু আগেই তার জাতীয় দলে খেলা বাদ হয়ে যেত’
আসিফ নজরুল স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘সুযোগ পেলেই প্রকাশ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নানা সবক দেন এবং তাদের উপর হম্বিতম্বি করেন পাপন আর সুজন। সুজন ছিলেন জাতীয় দলের সাধারন মানের একজন খেলোয়াড়, পাপন জীবনে বড় লেবেলে ক্রিকেট খেলেছেন শুনিনি। খুব বেশী মন চাইলে এরা তবু দলে মিটিং-এ ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু তারা দেন সবক, বা ধমক, সেটাও সাংবাদিকদের শোনানোর জন্য। আর বোকা সাংবাদিকরা সেটা শুনে বিশাল প্রতিবেদন লেখে ভাবে বিরাট একটা কাজ করে ফেলল।’
তিনি লিখেন, ‘একটা বার পাপন বা সুজনকে প্রশ্ন করেনা এসব প্রকাশ্যে বলছেন কেন? ক্রিকেটারদের মনোবল এতে ভেঙ্গে পড়বে কিনা? আমার ধারনা পাপন-সুজনের অত্যাচার আর খবরদারিত্ব থেকে বাচার জন্যই সাকিব আওয়ামী লীগ-পন্থী হয়েছেন। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহ না থাকলে বহু আগেই তার জাতীয় দলে খেলা বাদ হয়ে যেত। মাশরাফি আর সাকিবরা না থাকলে মুশফিক-তামিমদেরও খেয়ে ফেলতো পাপনরা। এদের ইমপ্যাক্ট ভালো না দলের জন্য।’ তিনি আরও লিখেন,‘ পাপনরা তবু আছে, থাকবে। এখানেও নাকি বিকল্প নাই! কি যে রসিকতা শুরু হয়েছে আমাদের সাথে।’
প্রসঙ্গত, নাজমুল হাসান পাপনের দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদে থাকা ও খালেদ মাহমুদ সুজনের বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রযুক্তি পরিচালক এর দায়িক্তে থাকা নিয়ে আসিফ নজরুল তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর থাকা না থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে নাটকীয়তা। মুলত এ সকল বিষয় নিয়েই তিনি তার হতাশার কথা শোনান