২১, ডিসেম্বর, ২০২৪, শনিবার
     

আমি তো টাকা দিতে রাজি ছিলাম, তাহলে আমার মেয়েটাকে কেন মারল’

নীলফামারীর জলঢাকায় আমেনা আক্তার নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় এক গৃহবধূসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশ আটককৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানাবে বলে জানিয়েছে।

শিশু আমেনা আক্তার উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চর হলদিবাড়ি গ্রামের আলকাজ আলীর মেয়ে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায় প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে যায় শিশু আমেনা। সারাদিন রোজা থাকায় আমেনার মা নার্গিস বেগম সন্ধ্যায় রান্না ঘরে ইফতার করতে যায়। ইফতার শেষে নামাজ পড়তে যায়। তখনও আমেনা উঠানেই খেলছিল। নার্গির বেগম নামাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উঠানে এসে দেখেন আমেনা নেই। আমেনাকে না পেয়ে সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমেও খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু শিশু আমেনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে কয়েক দিন আগে আমেনার চাচা আশরাফের একটি বাটন মোবাইল হারিয়ে যায়। সেই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল থেকে শিশুটির বাড়িতে ফোন করে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়। আর তা না করলে শিশু আমেনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তখন শিশুটির অপহরণকারীদের কথা মতো এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে অপহরণকারীরা বলেন, বাড়ির পূর্ব পাশের সবজি বাগানে টাকাগুলো রেখে আসতে বলে। আমরা তোমার বাচ্চাকে যথা সময়ে ছেড়ে দেব।

এরপর অপহরণকারীরা শিশুটির ঘুমন্ত ছবি তার বাবার মোবাইলের ইমুতে পাঠায় ও মুক্তিপণ দাবি করে। পরে শিশুটির পরিবার সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বুধবার বিকেলে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার তিস্তা নদীর চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির বাবা আলকাজ আলী বলেন, আমি তো তাদের কথা মতো টাকা দিতে রাজি ছিলাম। তাহলে আমার মেয়েটাকে কেন মেরে ফেলল। আমি বিচার চাই। আমার মেয়ের সঙ্গে এমন হয়েছে আর যেন কারো সঙ্গে এমন না হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, এ ঘটনায় তিনজকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।

               

সর্বশেষ নিউজ