২২, ডিসেম্বর, ২০২৪, রোববার
     

সিরাজদিখানে টিনের বেড়া দিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টিনের বেড়া দিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাই আব্দুল মান্নান হাওলাদারের পক্ষে মোসা. মাসুদা বেগমের বিরুদ্ধে। ১৯ অক্টোবর
উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মতিন হাওলাদারের ইছাপুরা মৌজার ৫৩ খতিয়ান,৩১২,৩১৩ দাগের বাড়ির ৭৪ শতাংশ পরিমান জায়গার উপর বৃহস্পতিবার সকালে টিনের বেড়া দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মতিন হাওলাদারের পক্ষে রাজিব হাওলাদার আইনগত সহায়তা চেয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এবিষয় কেয়ারটেকার রাজিব হাওলাদার বলেন, আমি আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল মতিন হাওলাদারের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দেখাশুনা করে আসছিলাম। বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর এবং গতকাল দুইদিন ধরে সেই জায়গার উপর টিন দিয়ে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে জোর পূর্বক ভোগ দখল করার পায়তারা করছে আমেরিকা প্রবাসী আঃ মান্নান হাওলাদারের পক্ষে মোসা. মাসুদা বেগম, নুর মোহাম্মদ হাওলাদার ওরফে দুখাই, শাহীন কাজী। আমি তাদের বলি জায়গার সীমানা নির্ধারণ করার পরেও মতিন হাওলাদারের জায়গার টিনের বেড়া দিচ্ছেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ এসে তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার তারা কাজ শুরু করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান হাওলাদারের পক্ষে মোসা. মাসুদা বেগম বলেন, এখন যেখান দিয়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে সেটা আঃ মান্নান হাওলাদারের। আমি অন্যের জায়গার উপরে বেড়া দিচ্ছি না। মান্নান হাওলাদারের যায়গায় বেড়া দিচ্ছি।

ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.সুমন মিয়া বলেন, পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের মৃত্যু আ. কাদির হাওলাদারে দুই ছেলে আঃ মতিন হাওলাদার ও আঃ মান্নান হাওলাদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এখন সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে দুই ভাই আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। আমি মীমাংসা করার জন্য দুই পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু একজন আসলে আরেকজন আসে না, একারণে মীমাংসা করা যাচ্ছে না। তবে আমি চেষ্টা করেছি তাদের এই সমস্যা সমাধানের। আরেকটি সমস্যা হলো দুই ভাইয়ের পক্ষে সম্পত্তি দেখার জন্য লোক রয়েছে। তারাই এই ঝগড়া-ফ্যাসাদ করে থাকে। তাই এ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন হয়ে আসছে।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে দেখে বেড়া দেওয়া হচ্ছে,তখন বেড়ার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসছে। এরপরও যদি কেউ আইন অমান্য করে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

               

সর্বশেষ নিউজ