১৬, সেপ্টেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

মুরাদনগরে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

মো: কামরুজ্জামান বাবু, কুমিল্লা:
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় মুরাদনগর নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব অনিয়ম এবং যৌন হয়রানের বিষয়ে গত ২১-০৮-২০২৪ ইং তারিখে মেয়েরা ক্লাস বর্জন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে। অতঃপর ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে দাবী সমূহ অভিভাবক প্রতিনিধিদের হাতে প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিতিতে হস্তান্তর করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেয়ে বলে,” আমাদের ক্লাসের প্রানজিত স্যার আমাদের গায়ে যে রকম ভাবে হাত দেয়, আমাদের বাবা ও আমাদের গায়ে সেই রকম ভাবে হাত দেয় না। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার নিকট আবেদন করলেও তিনি এর কোন ব্যবস্থা নেননি। ”

ছাত্রীরা আরও বলেন, “আমরা গতবছর প্রধান শিক্ষিকের নিকট ০৭-০২-২০২৩ ইং তারিখে লিখিত দরখাস্ত করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান।” ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে গত ২১-০৮-২০২৪ ইং তারিখে অভিভাবক প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষকরা বসলে মেয়েরা এই অভিযোগগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন অভিযোগ দেন। এই সময় বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক বলেন, ” কয়েক বছর আগে প্রানজিত স্যারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসে। সেই সময় তখনকার অভিভাবক প্রতিনিধিরা কঠোরভাবে বিষয়টি নিয়ে বসলেও প্রধান শিক্ষিকার কারণে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি।”

অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষিকাকে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে ছাত্রীরা গত ২৭-০৮-২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদন গ্রহণ করে খুব দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

উল্লেখ্য যে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জনাব সৈয়দা হাসিনা আক্তার এর বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে আগে অনেক লেখা লেখি হলেও তিনি তা আমলে না নিয়ে দুর্নীতি করতেই থাকে। গত ১৩-০২-২০২৪ ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতি, আথির্ক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা সহ খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। গত ২২/০১/২০১২ সালে নিয়োগ অবৈধ বলে জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করা হলেও আর কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। তিনি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক আশ্রয়ের সাহায্য নিয়ে ছাত্রীসহ অভিভাবকদের ওপর নানান জুলুম ও নির্যাতন পরিচালনা করেন।

যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের এইসব অনিয়মের বিপক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে তাদেরকে বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা বাসায় গিয়ে অথবা মোবাইলে হুমকি প্রদান করছেন। সংখ্যালঘু মামলা সহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে এই সকল দাবি থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিতে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।

               

সর্বশেষ নিউজ