ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সৈন্যরা কামান হামলা চালিয়েছে এবং তারা দেশটির সেভারোদনেৎস্ক নগরীতে প্রচণ্ড যুদ্ধের মুখে পড়েছে। এদিকে স্থানীয় গভর্নর বলেছেন, সেখানে প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখে আগ্রাসনকারীরা পিছু হটেছে। তাদের হারানো ২০ শতাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, লক্ষ অর্জিত হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রুশ সেনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়ার পর এক শ’ দিন পেরিয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হয়। এখন থেকে ইউক্রেনে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যুদ্ধের কারণে লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
রুশ বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দখল নেয়া। তবে ইউক্রেন বাহিনীর প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে তা অনেকটা গতি হারানোয় তারা এখনো কিয়েভ দখল করতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে রুশ বাহিনী এখন দনবাসসহ পূর্বাঞ্চল দখলের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সেভারোদনেৎস্ক’র কিছু এলাকায় প্রচণ্ড লড়াই চলছে। সেখানে ইউক্রেন বাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
লুগানস্ক আঞ্চলিক গভর্নর সার্গি গইদে শুক্রবার বলেন, ‘তারা (রাশিয়ার সৈন্য) এ অঞ্চলের পুরোপুরি দখল নিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, সেখানে প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে আগ্রাসী বাহিনী ‘২০ শতাংশ’ পিছু হটেছে।