এবার থেকে স্বর্ণালংকার ফেরত ও পরিবর্তন করলে আগের তুলনায় অধিক হারে অর্থ পাবেন গ্রাহক বা ক্রেতারা। কেনার পর অলংকার ফেরত দিলে ক্রেতারা ৮৫ শতাংশ অর্থ ফেরত পাবেন। আর পরিবর্তন করলে ৯২ শতাংশ অর্থ পাবেন। এতদিন ক্রেতারা স্বর্ণালংকার ফেরত দিয়ে ৮০ শতাংশ অর্থ ফেরত পেতেন। আর স্বর্ণালংকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ অর্থ পেতেন। সেই হিসাবে এখন থেকে নতুন নিয়ম অনুসারে স্বর্ণালংকার ফেরত দিয়ে ক্রেতারা পাঁচ শতাংশ এবং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ অর্থ বেশি পাবেন। আজ সোমবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
সাধারণত দামের এই হার সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। বাজুস জানিয়েছে, সম্প্রতি বাজুসের এক সভায় ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ (পরিবর্তন) ও পারচেজের (ক্রেতার কাছ থেকে কেনা) হার কমানো হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ এবং পারচেজের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ যাবে। সেই সঙ্গে স্বর্ণালংকার বিক্রির সময় প্রতি গ্রামে ৩০০ টাকা মজুরি দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনেই স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারে চার দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এ দর সর্বোচ্চ। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৪৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ৯৯৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৫৬ হাজার ৯৭৯ টাকা করা হয়েছে।