২৫, ডিসেম্বর, ২০২৪, বুধবার
     

‘বহুতল ভবনে আগুন নেভাতে বিদেশ থেকে মই আনা হয়েছে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বহুতল ভবনে আগুন নেভাতে বিদেশ থেকে ৯টি লেডার (মই) কিনে আনা হয়েছে। শিগগিরই আরও লেডার আসবে।

তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এবার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। সেখানে মানুষ ও মালামাল পারাপারে ৩০টি আধুনিক রেসকিউ বোট ব্যবহার করা হয়েছে। এসব বোট নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের তৈরি ৩০টি রেসকিউ বোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাকসুস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ-খুদা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারই সুযোগ্য তনয়া সায়মা ওয়াজেদের নির্দেশনায় বন্যাদুর্গতদের দ্রুত সহায়তার লক্ষ্যে ৬০টি রেসকিউ বোট তৈরি করা হয়েছে। বোটগুলো যে কোনো দুর্যোগে অল্প সময়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে সক্ষম। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত অঞ্চলের জনসাধারণকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতেও এ বোটের জুড়ি নেই। বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় এমন আরও ৪০০ রেসকিউ বোট নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের জুলাই মাসে নৌবাহিনী পরিচালিত ডিইডব্লিউয়ের সঙ্গে ৬০টি রেসকিউ বোট তৈরির জন্য ২৭ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। ৫৪ ফুট দৈর্ঘ ১২ দশমিক ৫০ ফুট প্রস্থ এই বোটগুলো ৮০ জন লোকের ধারণক্ষমতা রাখে।

গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন এলাকায় বোটগুলো দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বন্যাকবলিত এলাকার কর্মকর্তাদের হাতে বোটগুলো বুঝিয়ে দেন।

               

সর্বশেষ নিউজ