২৪, ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার
     

ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, রাত ১২টার পর ফার্মেসি বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে না, এটা খোলা থাকবে। সিটি করপোরেশন যদি এটা নিয়ে কিছু করে থাকে সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে করা হয়নি। আমরা এখনই তাদের সঙ্গে কথা বলছি।

গতকাল বুধবার দক্ষিণ সিটি করপোরশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে অলিগলির ওষুধের দোকান রাত ১২টা এবং হাসপাতালের সঙ্গে থাকা দোকানগুলো রাত ২টার পর বন্ধ থাকবে।

এদিকে ফার্মেসি বন্ধের এ সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বিষয়টি তিনি জানেন না বলে কর্মকর্তাদের জানান। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রী ওষুধের দোকান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্ট্রংলি দ্বিমত পোষণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ আগস্ট) কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ থাকবে তার সময়সীমা নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপনীবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে ডিএসসিসির সকল এলাকায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ঢাকা শহর পরিচালনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থানার লক্ষ্যে কোনো ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ থাকবে তার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ডিএসসিসি এলাকার সকল দোকান-পাট, শপিং মল, মার্কেট ও বিপনীবিতান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রাত ১০টার মধ্যে। সব ধরনের রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানের রান্নাঘর রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ কতে হবে, তবে খাবার সরবরাহ করা যাবে ১১টা পর্যন্ত। এ ছাড়া চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত-বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা রাত ১১টা পর্যন্ত, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

               

সর্বশেষ নিউজ