প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেন, তাদের দিকটা সবাইকে দেখতে হবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের পরিশ্রমের কারণে মালিকরা উপার্জন করেন। তাই তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব সকলের। শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকে সিলেট বিভাগের ১৩টি চা বাগান মালিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য— সবাই ক্ষতিগ্রস্ত, এতে কোনও সন্দেহ নাই। কিন্তু এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দিকে তো আমাদের একটু দেখতে হবে। চা শিল্প আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা সময় আমাদের দেশের বড় অর্থকরী ফসল ছিল, যেটা রফতানি করে আমরা অর্থ উপার্জন করতাম। দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় চায়ের চাহিদা দেশেও অনেক বেড়ে গেছে।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। নতুন নতুন চা বাগানও করেছি। পঞ্চগড়ে চা বাগান ছিল না। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেই চা বাগানটা আস্তে আস্তে পঞ্চগড় থেকে এখন ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত এসে গেছে। লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের দিকেও কেউ কেউ ছোট ছোট করে বাগান করছে। আগে শুধু চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগেই চা বাগান ছিল।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এই শ্রমিকদের কিন্তু নাগরিকত্ব ছিল না। ব্রিটিশরা বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আনে। মোটামুটি দাসত্বগিরিই করতে হতো তাদের। তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন চেয়ারম্যান হলেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হলো। কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছিলো। সেই সূত্রে তাদের সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ ছিল— তারা এই কথাটা সব সময় মনে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমার কাছে যে প্রস্তাব এসেছিল— তার অনেকগুলো কাজ আমি করে দিয়েছিলাম।