২৩, নভেম্বর, ২০২৪, শনিবার
     

আগষ্ট মাস শোকের মাসের তো বটেই আগষ্ট মাস শক্তির মাস – কানতারা খান

কাজী ওহিদ-গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি-

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ- কমিটির অন্যতম সদস্য কানতারা খান বলেছেন, আগষ্ট মাস শোকের মাসের তো বটেই আগষ্ট মাস শক্তির মাস। কারন বঙ্গবন্ধুকে আগষ্ট মাসে হারিয়ে আমরা ভেংগে পড়ি নাই,আমরা পথভ্রষ্ট হয়নি বরং বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি”র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে সঠিক পথে। তিনি আরোও বলেছেন,” ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে যারা বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন এবং বিভিন্ন স্থানে লিখেছিল আমরা কোথায় যাব না। তারাই এত বছর পর ৩২ নম্বর বাড়িতে এসে সেই মন্তব্যের বইতে লিখে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যা কল্পনা করতে পারে নাই কোন দেশ। যে পাকিস্তান ভেবে ছিল আমাদের কোন গুরুত্ব নাই, আমাদের কোন মানচিত্র নাই। তারা আজ অবাক চিত্রে তাকিয়ে দেখছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সারা পৃথিবী করোনার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ,যখন থেমে গেছে উন্নয়নের চাকা, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় দূরদৃষ্টি নেতৃত্বে কারণে বাংলাদেশ একটু একটু করে এগিয়ে গেছে। আজকের সেই বিশ্বাস সেই দৃঢ়তার সেই শক্তি, সেই সাহস সবচেয়ে বড় প্রমাণ পদ্মা সেতু। যারা বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না। ষড়যন্ত্র করেছিলেন। শুধু দেশেই নয় বিদেশে আমেরিকায বসে। সাহায্য দেবে না, টাকা দেবে না তারা ভুলে গিয়ে ছিল এটা শেখ মজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনার প্রতিজ্ঞা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী অবস্থায় বলেছিলেন আমি মাথা নত করতে শিখি নাই,আমি বাঙালী,আমি মুসলমান। একবার মানুষ মরে, বার বার মরে না। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের বলেছিলেন আমাকে তোমরা মেরে ফেলতে চাও তাহলে আমার লাশটা বাংলাদেশের মাটিতে ফেরত দিও। আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু”র সুশিক্ষিত সুযোগ্য কন্যাকে চোখের রাঙ্গানি দিয়ে ভয় পাওয়ানো যায় না। আমাদের নেত্রী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর মাঝে বার বার প্রমাণ করলেন তিনি একজন অত্যন্ত সাহসী বাবার সাহসী কন্যা। অনুষ্ঠানে তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন বাংলাদেশ,স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হলে আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু”র সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু,বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। কানতারা খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। আসুন দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সকলে জাতির পিতার তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাড়িয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করি। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২৮ আগষ্ট রবিবার বিকাল ৪ টায় ফারুক খান মিলনায়তনে মুকসুদপুর পৌরসভা, জুবিল্যান্ড ক্লাব ও স্ট্যাটান্ড ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে শোক সভা,পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ- কমিটির অন্যতম সদস্য ও সুচিন্তা বাংলাদেশের যুগ্ম আহবায়ক কানতারা খান একথা গুলো বলেছেন। মুকসুদপুর পৌর সভার নবনির্বাচিত মেয়র মোঃ আশরাফুল আলম শিমুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদ, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়া,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম মোল্লা, মুকসুদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা। স্বাগতম বক্তব্য রাখেন জুবিল্যান্ড ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম। মেহেরুমা তাবাচ্ছুমা ছোয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলার নয়নের সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বেলায়েত,মুকসুদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোঃ ফিরোজ খান,জুবিল্যান্ড ক্লাবের সিনিয়র সহ- সভাপতি হায়দার আলী নিশাম, সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক সনোজ কুন্ডু, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল, মুকসুদপুর স্ট্যাটান্ড ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান সোহাগ, মুকসুদপুর আর্দশ আইডি স্কুল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তানবির আহম্মেদ, মুকসুদপুর পৌর কাউন্সিলর নুর আলম মৃধা, সরকারী মুকসুদপুর কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসেন চযন প্রমুখ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুকসুদপুর পৌরসভা ও জুবিল্যান্ড ক্লাব মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে “বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন তার অবদান” শীর্ষক লিখিত কুইজ কন্টেষ্ট, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অংকনে চিত্রাংকন ও “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথ কানতারা খান প্রতিযোগিতায় বিজযদের মধ্যে নগদ অর্থ ও ত্রুেস্ট পুরস্কার বিতরণ করেছেন।

               

সর্বশেষ নিউজ