আগের প্রকল্ডে দেড় লাখ ইভিএমের জন্য তিন হাজার ৮শ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এবার আমাদের দুই লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প নেওয়া হবে। আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।
ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন,আগের প্রকল্ডে দেড় লাখ ইভিএমের জন্য তিন হাজার ৮শ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এবার আমাদের দুই লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প নেওয়া হবে। এছাড়া ওয়্যারহাউজ, জনবল ও অন্যান্য বিষয় আছে। আগের প্রকল্পে একটি ইভিএম কেনা হয়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার টাকার। এখন ডলারের একটা বিষয় আছে। সেই হিসেবে প্রকল্পের আকার দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, সাড়ে ২১ হাজার স্কয়ার ফিটের ওয়্যারহাউজ লাগবে। সেভাবে ওয়্যারহাউজ চিন্তা করছি। তবে সিদ্ধান্ত পৌঁছায়নি। ওয়্যারহাউজ পেন্ডিং, ট্রান্সপোর্টেশন ও নির্ধারণ হয়নি। তিনি আরও বলেন, বিএমটিএফের ক্যাপাসিটি আছে। এই মাসের মধ্যেই আমরা ডিপিপি পাঠিয়ে দেবো। যত তাড়াতাড়ি অনুমোদন হকে তত তাড়াতাড়ি হবে। আর যত দেরি হবে, তত টাফ হবে।
১০টা অঞ্চলে ১০টা ওয়্যারহাউজ, ভূমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো ব্যয়গুলো মিলে প্রাইসটা আসবে। এছাড়া ট্রেনিংয়ের বিষয় আছে। মূল কথা হলো একটা ভাল প্রকল্প যেন প্রস্তাব করা যায়, একটা টেকসই ব্যবস্থার জন্য যা করার দরকার আমরা সেভাবে প্রস্তাব করছি। নতুন প্রকল্পের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার হয়েছে, সে সকল এলাকাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে এই ভোট-যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
মো. আলমগীর বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের না। ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা হয়তো একটা গাইডলাইন চাইতে পারে আমাদের কাছে।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, সরকার থেকে টাকা না দিলে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাশ না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে ৭০-৮০টি আসনে নিশ্চিত। আমাদের যা ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০-৮০টাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১৫০টি আসনের ইভিএম এভেলেবল হলে পারবো। কারণ ইভিএম তো হাতে নেই। কোন কোন আসনে হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। ক্রাইটেরিয়া ডিপেন্ড করবে। যেখানে ভোট হয়েছে সেসব এলাকাতেই হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসন, স্বাভাবিক ভাবেই পৌর, ইউপিসহ যেসব ভোট হয়েছে সেসব এলাকাই আমলে নেওয়া হবে।