বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দিতে বলেন, ‘ম্যাঁয় হামেশা আভারি হু। হামারা দেশ জাব স্বাধীন হুয়া, জাব লিবারেশন ওয়ার হুয়া; ইহাকে লোগোনে জ্যায়সা হামারে সাথ থে, সাপোর্ট কিয়ি, অউর বহত লোগ… উনকা জিতনা কন্ট্রিবিউশন হ্যায়, হাম হামেশা ইসকো স্বোয়াগত করতাহু.. অ্যান্ড আই অ্যাম রিয়েলি আভারি হু। মেরে ওরসে ভারতবাসীকো শুভেচ্ছা।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়, দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এই সময় গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীও তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ছয় বছর অবস্থান করেছিলেন। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বক্তব্যের এক পর্যায়ে এই কয়েকটি লাইন হিন্দিতে উচ্চারণ করেন তিনি।
পরবর্তীতে আবারো বাংলাতেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি একটু চেষ্টা করলাম, হিন্দিতে বলার। ছয় বছর ছিলাম এখানে (দিল্লি), একটু একটু শিখেছি। সেখান থেকেই বললাম যে, আমার তরফ থেকে ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে একাত্তর সালে ভারতবাসী যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং সবক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা পেয়েছি; সেজন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এসময় ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের, বিশেষ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা আমরা সবসময় স্মরণ করি। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি।