এজি লাভলু:
কুড়িগ্রাম-২ আসন (সদর-রাজারহাট-ফুলবাড়ী) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলাল সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, শহর ও লোকালয়ের জনসাধারণের মাঝে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সর্বদা ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান ও প্রস্তুতি সফলের পথেসহ দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিরবে-নিভৃতে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
গণসংযোগে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন এবং আবারও সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান। গণসংযোগকালে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে এবং তারা সফল সরকার ও নৌকা প্রত্যাশি আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলালকে নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৬, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলাল এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নৌকা মার্কার পক্ষে তিনি জনমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হিংগনরায় বাসষ্ট্যান্ড পাড়া এলাকার মরহুম সোলায়মান মিঞার পুত্র আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল। কুড়িগ্রামে তিনি ছাত্র জীবনে শৈশব কাটিয়েছেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯১ সালে ডিগ্রি পাশ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সালে এম.এ এবং ২০০৭ সালে এলএল.বি পাশ করেন। একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জ্বড়িত আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলাল নিজের কর্মদক্ষতা কাজের মাধ্যমে সবার কাছে প্রমাণ করেছেন তিনি কুড়িগ্রামের একমাত্র আওয়ামী লীগের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কান্ডারী।
আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৩ সাল হতে ২০১ ২সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যসহ কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য পদে রয়েছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বহুবার নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাবেক এ ছাত্রনেতা ২০০৪ সালে জাতীয়তাবাদী দলের অফিস পোড়ানো মামলার আসামী, ২০০৬ সালে লগী-বৈঠা দিয়ে শিবির কর্মী হত্যা মামলার আসামী, বিএনপি অফিস ভাংচুর জিয়া ও খালেদার ছবি পোড়ানো মামলার আসামী ছিলেন। ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সুধাসদনের বাস ভবনে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন এবং ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৬ সালে আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল নিজে বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক উন্নয়ন ও সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছেন। কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক গ্রুপের প্রচার সম্পাদক, হিজবুল আরাফাত (হাজ্বী সমিতি) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ক্লাব-৮৪ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বাস-টার্মিনাল মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক, কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদরাসার মসজিদ কমিটির সদস্য, স্টাফ কোয়াটার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা ট্রাক্টর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা হিসেবে আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলাল নিজেকে সামাজিক কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে যুক্ত থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করে মানুষের মনে প্রীতি, আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আলহাজ্ব এড. রুহুল আমিন দুলাল বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলীয় সিদ্ধান্তসহ জনগণের সমর্থনে এমপি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুন্নত এলাকায় পাটক্রয় কেন্দ্র, অসহায় দুস্থ্য মহিলাদের প্রশিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, তাঁত শিল্প ও হস্তশিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম ও আছি এবং থাকবো। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নয় বরং কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট উপজেলার দরিদ্র-পিড়িত অধিকার বঞ্চিত নদী ভাঙন কবলিত মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কার নির্মাণ, বেকারত্ব দুরীকরণ, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, শহর ও লোকালয়ের আমার প্রাণ-প্রিয় জনসাধারণের মাঝে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে। আবারও সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় আনার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।