এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
বাগেরহাটের রামপালে আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধ সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাতুনিয়া গ্রামে আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন পরিচালনা পর্ষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
জানাগেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান নৈশপ্রহরীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ তারিখ সোমবার বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এঘটনার পরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। রামপাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় বন্ধের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে আর্থিক হিসাব চাওয়ায়, কোন কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা, অকারণে শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচারণ করা, কলিগ ও ছাত্রীদের প্রতি অশ্লীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন, বিদ্যালয়ের হিসাব চাওয়ায় ছাত্রীদের দিয়ে ইভটিজিংয়ের মামলা দেওয়ার প্রলোভন, বিভিন্ন খরচের অজুহাতে প্রতিমাসে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী টাকা নেওয়া, সভাপতিকে না জানিয়ে অন্যদের ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাত, এমপিওভুক্ত শিক্ষককে ভয়ভীতি দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস বিদ্যালয়ে আসতে না দেয়া, বিনা কারণে শিক্ষক ও কর্মচারীকে দিয়ে পারিবারিক কাজ করানো, অফিসে পান, তামাক, সুপারি ও গুল জাতীয় নেশা দ্রব্য রাখা, নৈশপ্রহরীর, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে উন্নয়ন তহবিলের কথা বলে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত, শিক্ষকের ঐচ্ছিক ছুটি মন্জুরে তালবাহানা, পার্শবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বিরোধের কারণে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ভর্তি না হওয়ার মত নানান অভিযোগ রয়েছে বক্তারা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাওলাদার সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতাবলে ২ দিন বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে পারেন। সভাপতি ও অভিভাবকদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। আবার আমরা সমাধান করে ফেলবো। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওই প্রধান শিক্ষক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উজলকুড় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিয়ার রাহমান, ইউপি সদস্য এনামুল হোসেন, আলমগীর সরদার, আ. রহিম হাওলাদার, ফরিদ হোসেনসহ এলাকাবাসী।