মোঃ জাফর মিয়া, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাল্কহেডে ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় শিশুসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । রবিবার উদ্ধার অভিযানের তৃতীয়দিনে চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় সকাল ৭ টার দিকে ভাসমান অবস্থায় শিশু জান্নাতুল মারোয়ার(৮)পরে বেলা দশটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা নদী থেকে থেকে সাব্বির হোসেন (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো: ওবায়দুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সাব্বির রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করতো। জান্নাতুল মারোয়্ গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি এলাকায় কাজী বোরহানের মেয়ে। এদিকে এনিয়ে এদূর্ঘটনায় ৩জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু । তারা হলেন নিহত সুমনের দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ও সাফা এবং নিহত সাব্বিরের ২২ মাস বয়সী শিশু ইমাদ।
এরআগে গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদরের রমজান বেগ এলাকা থেকে নিখোঁজ সুমনা আক্তার (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য , গত শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জ-নারায়গঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১২ জন আত্মীয়। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরারপথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে ঘটে দূর্ঘটনা। রাতে আধারে অবৈধভাবে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ অভিমুখে চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় চালক সহ ১৩ জন বাহি ট্রলারটি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মফিজুল -৪০, তার খালা আকলিমা(৪৭), শিশু তিনা(৯), তাহিয়া (১০) সাফা (৪), যুবক রিয়াদ (২২) ও ট্রলার চালক রফিকুল সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ৪শিশু সহ অপর ৬জন।