সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জে সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান উপজেলা প্রতিনিধি মো. আরিফ হোসেন হারিছের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরে দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ।
সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্সসূচি পালন করা হয়। এসময় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান উপজেলা প্রতিনিধি মো. আরিফ হোসেন হারিছের বিরুদ্ধে দায়েনমরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যারের দাবী জানান গণমাধ্যম কর্মীরা।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কারীরা বলেন, অন্যায় অত্যাচার ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিকরা মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। আমরা এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে সাংবাদিক মো. আরিফ হোসেন হারিছ সহ সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় ।
সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান পনির,ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবুল,প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সালাহউদ্দিন সালমান,সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম লিংকন,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদুর রহমান যুবায়ের,
আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. জাফর মিয়া, চ্যানেল২৪ এর শুভ ঘোষ, বাংলাটিভির মো. রুবেল মাদবর,শ্রীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মাইজভান্ডারী,
সাংবাদিক আনিছুর রহমান নিলয়, সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইলেকট্রনিক্স ও পিন্ট মিডিয়া গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
উল্লেখ্য সিরাজদিখান-বালুচর প্রধান সড়কের সাথে সংযোগকৃত নতুন ভাষানচর ব্রীজ সংলগ্ন একটি ইটের রাস্তার মধ্যখানে পিলার স্থাপন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় মৃত আমির হোসেন হেনার ছেলে হাবিবুল্লাহ হেনা ও সাফায়েত উল্লা হেনা সহ কয়েক জন। পরে পিলার স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীর বংশ ও বেপারী বংশের মধ্যে
একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে তথ্য তুলে ধরে সংবাদ প্রচার করলে সাংবাদিক মো. আরিফ হোসেন হারিছকে আসামি করে মীর বংশের মাকসুদা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।