সজিব সিকদার। শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীতে চলছে অবাদে বালু উত্তলন।রাত হলেই শুরু হয় অধ্যশাতাধিক কাটার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন।হুমকির মুখে রয়েছেন নড়িয়া ডানতির রক্ষা বাধ।ইতিমধ্যেই ভাংঙ্গন দেখা দিয়েছে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা জিরুপয়েন্ড বেরিবাধ টি। নদীর গর্ভে চলেগেছে পাইনপারা আহামেদ মাঝি কান্দির গ্রামের মসজিদ -মাদ্রসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -সহ তিন শতাধিক বশত ভিটা।
নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর সাধুর বাজার ও চরআত্রা ,ভেদেরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন সিমানায় ও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর বাবু চর,ও সিডাচর- সহ -৪ টি পয়েন্টে সুজুগ সন্ধানীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চালাচ্ছেন অবৈধ বালু উত্তলন।
নড়িয়া উপজেলার প্রশাসন কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করলেও এই বালু খেকোরা কোনোভাবেই ফিরছেন না বালু উত্তলন থেকে। এজেনো আলাদীনের প্রদীপ গল্পকেও হার মানাবে।
এস্থানীয় কিছু অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন দলের নামভাঙ্গীয়ে বালু তোলায় মেতে উঠেন – সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙ্গন কবলিত মানুষের আত্যনাত ,তারা নিজেরাই বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন- বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বালুদস্যু সিন্ডিকেট সাথে জড়িত থাকা এস্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী -নরুজামন শেখ,রফিক খা,রিপন শেখ,লতিফ শেখ,মেহেদী শেখ,আজাহার শিকারী,মজিবর মোল্লা,এরশাদ শিকদার,-সোহাগ মাদবর,শোভন খা,দিলু -খা,জনি দেওয়ান,বি এনপি নেতা তারা এবং ওয়াসিম সহ অনেক জনপ্রতিনিধিদের নাম আসছে।এদের অনেকেই জরিয়ে গেছেন এই অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সাথে। রাত হলেই বলু তুলে ককোটি কোটি টাকা লুফে নিয়েছেন সংঘবদ্ধ চক্রটি।
নৌ পুলিশের দুইটি পুলিশ ফারির একটি নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর ফারি ও জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট ফারির ১০-১০ কিলোমিটার মধ্যে চলে বালু উত্তলন – তাদের নিরবভূমীকায় নিয়ে কথা বলেন ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলো।
এবিষয়ে মাঝিরঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ বলেন আমাদের নলেজে নেই বালু উত্তলনের বিষয় ,রাতের আধারে কাটার চেষ্টা করে অনেক বালুদস্যু ,আমরা বালু উত্তলন করতে দিবোনা এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন শরীয়তপুরে নড়িয়ায় পদ্মা নদিতে দুই দফায় পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী -১টি কাটার সহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে -এর আগে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন বালুদস্যু কে আটক করে -১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ বলেন পদ্মা নদীর বাদ রক্ষার সার্থে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সটঃ শফিকুর রহমান কিরন ,সাবেক সংসদ সদস্য ও সভাপতি,-শরীয়তপুর জেলা বি এনপির।
তিনি মুঠো ফোনে জানান বি এনপির নাম ভাঙ্গিয়ে জারা বালু উত্তলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক কাছে নালিশ করা হয়েছে।
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ,নৌ পুলিশ সুপার ,,চাদপুর অঞ্চল।
তিনি মুঠো ফোনে জানান পদ্মা নদীতে বালু উত্তলন কিছুতে করতে দেওয়া হবেনা- পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে রিজার্ভ ফোস নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বালুদস্যুদের নিমূল করবো।