খল-অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন অভিনেতা ওমর সানী। ঘটনার পরপরই জায়েদ খান ওমর সানীকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত থেকেই মিডিয়াপাড়ায় এ ঘটনা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমীর সঙ্গে নাকি জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছেন। এটা নিয়ে জায়েদের ওপর মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী ভীষণ বিরক্ত হন। এ বিষয়ে ডিপজলের কাছে বিচারও চান ওমর সানী। ডিপজল উভয়কে ঠাণ্ডা থাকতে বলে দেন। উভয়কে উভয়ের থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দেন। তবে এ ঘটনা ওখানেই থেমে থাকেনি। ডিপজলের ওই সমাধান ওমর সানীর ভালো লাগেনি। মেনেও নেননি। তাই জায়েদ খানকে ডিপজলের ছেলের বিয়েতে পেয়েই চড় মেরে বসেন এবং বলেন, তোরে (জায়েদ) না নিষেধ করছি, আমার বউরে ডিস্টার্ব না করতে। কোনো ফাজলামি করবি না। অসম্মান করে কথা বলবি না। ওমর সানীর চড় ও এমন সব কথা শুনে জায়েদ খান কোমর থেকে পিস্তল বের করে বলেন, ‘গুলি করে দেব।’ এরপর তাদের দুজনকে আলাদা করেন ডিপজল।
যদিও ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি জানিয়েছেন, এমন কিছুই সেদিন ঘটেনি। শত্রুতা করেই এসব রটানো হচ্ছে। তবে ওমর সানীর দাবি ভিন্ন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘ঘটনা সত্য। আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছি রাত ৯টার দিকে। কথায় কথায় আমি জায়েদকে চড় দিয়েছি। আমি দেখেছি সে পিস্তল উঠিয়েছে। ওর কাছে তো লাইসেন্স করা পিস্তল আছে।’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘সে (জায়েদ খান) অনেকদিন ধরে আমার বউকে ডিস্টার্ব করছে। আমাদের বিভিন্ন কাজেও বাগড়া দিয়ে আসছে। আমাদের অনেক কাজ সে বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরও আমি চুপ ছিলাম, মাটির দিকে তাকিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি।’
জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ আছে বলেও জানিয়েছেন ওমর সানী। তার ভাষ্য, ‘ওর নামে বহু অভিযোগ আছে। সে অনেক সংসার ধ্বংস করেছে। তার পিস্তল বের করে চলাচল করা, কত মেয়েদের পেছনে লেগেছে। এমন বহু অভিযোগ আছে। এটা কি নতুন কিছু তার জন্য? জায়েদ খানের এই ধরনের অভিযোগের গাছের বয়স তো প্রায় ৪ হাজার বছর!’ তবে এ বিষয়ে এখনই আইনি ব্যবস্থা নেবেন না ওমর সানী। আপাতত সিনেমা অঙ্গনের জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, তাদের কাছে বিচার চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।