লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। জেলার হাতিবান্ধায় অবস্থিত ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার দুদিন গত সোমবার থেকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে তিস্তা তীরবর্তী লাখো মানুষ।ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা।
সোমবার সকাল থেকেই পানি বাড়তে থাকে তিস্তায়। হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে বিকেলে ১০ সে. মি. এবং সন্ধ্যায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিস্তার পানি রেকর্ড করা হলেও আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোরে পানি কমে ১৫ সে.মি ওপরে ও সকালে ১৭ সে.মি. ওপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পানির এই হ্রাস বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদরের ২০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবসহ নানা সমস্যার।তাছাড়া বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় তাদের পালিত পশুপাখি নিয়েও পড়েছেন চরমবিপাকে। অনেকটা বাধ্য হয়েই অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই। তাছাড়া পানি বৃদ্ধির কারনে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে। অব্যাহত রয়েছে ভাঙ্গণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র চলমান ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করা এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।