১৮, নভেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

শরীয়তপুর লাইব্রেরীর সামনে ময়লার স্তুপ

নাছির আহম্মেদ আলী, শরীয়তপুর ॥ লাইব্রেরী হল ঞ্জান আহরনের অন্যতম মাধ্যম। তবে বর্তমানে এখানে জলছে না তেমন ঞ্জানের আলোক বর্তিকা। দেখা মিলছে না ঞ্জান পিপাসু ছাত্র/ছাত্রী ও পাঠকদেও । তার একটি হল শরীয়তপুর পাবলিক লাইব্রেরী এ যেন পোকা মাকরের ঘর বসতী। লাইব্রেরীর সামনেই রয়ে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। মাঝে মধ্যে দু একটা আচার অনুষ্ঠান হলে ও পুরো বছর পাবলিক লাইব্রেরী বন্ধ থাকে । আছেন একজন লাইব্রেরীয়ান তিনি মাঝে মধ্যে অফিসে এসে দ্ ুএকটি খাতায় স্বাক্ষর কওে চলে যান সংরক্ষনের অভাবে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে মহা মুল্যবান বই। পোকা মাকড়ে খেয়ে ফেলছে বইয়ের পৃষ্ঠার পর পৃষ্টা এ যেন দেখার কেউ নেই । এমন অবস্থা শরীয়তপুর জেলার স্কুল ,কলেজ ,মাদ্রাসার অধিকাংশ লাইব্রেরীর ।

শরীয়তপুর পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরীয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনায় অনুমোদিত লাইব্রেরী রয়েছে ১৭ টি । শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে শরীয়তপুর জেলায় নি¤œ ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে স্কুল রয়েছে ১২৮ টি , স্কুল এন্ড কলেজ রয়েছে ৮ টি ,মাদ্রাসা আছে ৫৭ টি ,কলেজ রয়েছে ১৭ টি ।

তার মধ্যে অনেক প্রতিষ্টানে লাইব্রেরী নেই। যে সকল প্রতিষ্টানে লাইব্রেরী রয়েছে সে গুলোতে ও শিক্ষার্থীদেও কোন আনা গোনা নেই। সব প্রতি ষ্ঠানে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ থাকলে ও নিয়োগ প্রাপ্ত লোকজন থাকলে ও লাইব্রেরী গুলো দেখবাল করার মত কেউ নেই। কোন কোন বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী থাকলে ও মাসের পর মাস তালা খোলা হয়না। লাইব্রেরী গুলো রুপ নিয়েছে বই য়ের গোডাউনে ।
জানা যায়, প্রতিবছর তিন ক্যাটাগড়িতে বিভিন্ন লাইব্রেরীতে সরকারী ভাবে জুন জুল্ইা মাসে বই কেনার জন্য অনুদান দেওয়া হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানের উপযুক্তকক্ষ না থাকার কারনে বইগুলো শিক্ষার্থীদেও ঞ্জান আহরনে কোন ভুমিকা রাখতে পারছে না। ব্যহত হচ্ছে সরকারের এ মহৎ কার্যক্রম।

সওে জমিন ঘুওে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে লাইব্রেরীর কোন অস্তিত্বই নেই। এখানে নেই কোন লাইব্রেরীয়ান । একই উপজেলার সামন্তসার উচ্চ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী বছরের পর বছর তালা বদ্ধ। একই উপজেলার শিধলকুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর জন্য একটি কক্ষটি তালা বদ্ধ থাকলে ও নেই লাইব্রেরীর জন্য কোন নির্দিষ্ট কোন কক্ষ। এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরীয়ান থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম। নেই শিক্ষাথীদের বসার মত কোন জায়গা ।
সামন্তসার উচ্চবিদ্যালয়ে লাইব্রেরীয়ান পদে থাকা ব্যাক্তি লাইব্রেরীয়নের কোন কাজ করছেন না। তিনি শ্রেনী কক্ষে পাঠদান করছেন। জরাজির্ন অবস্থায় পওে আছে। জাজিরা উপজেলার বিলাশ পুর এলাকার কাজিয়ার চর উচ্চবিদ্যালয় , বিলাশপুর কুদ্দুছ বেপারী উচ্চবিদ্যালয় সহ অধিকাংশ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী নেই। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নাম মাত্র লাইব্রেরী থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম ।
শিধল কুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্র মোঃ শাজাহান, শাহীন আলম বলেন , আমাদেও স্কুলে লাইব্রেরীর জন্য কোন রুম বরাদ্ধ নেই। ভাংগা চুরা একটা রুমে গুদামের মত বই রাখা হয়েছে। যা আমাদেও কোন উপকাওে আসে না।

ইদিলপুর পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্র বলেন , আমাদের স্কুলটি গোসাইরহাট উপজেলার মডেল স্কুল । অথচ আমাদেও স্কুলেই লাইব্রেরী , লাইব্রেরীয়ান কিছুই নেই। বিষয়টি ভাবতে অবাক লাগে।
শিধলকুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান সিদ্দিকী বলেন , বর্তমানে আমাদেও লাইব্রেরীটি আছে নাম মাত্র। এখানে তেমন কোন কার্যক্রম নেই। একজন লাইব্রেরীয়ন আছেন । লইব্রেরীর কার্যক্রম না থাকায় তিনি এখন নিয়মিত ক্লাশ নিচ্ছেন।
ইদিলপুর পাইলট সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহা এমদাদ হোসাইন বলেন ,স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই স্কুলে লাইব্রেরী নেই । এর কোন কার্যক্রম ও নেই।

শরীয়তপুর পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরীয়ান মো গুলো মিয়া বলেন , লাইব্রেরীবে আগের মত পাঠক আসে না। যার ফলে নিয়মিত খোলা হয় না। তাইব বই গুলো সংরক্ষন করা কষ্ট হচ্ছে।
শরীয়তপুর ভাষা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরীয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন , তিন ক্যাটাগড়িতে লইব্রেরীতে আমরা সরকারী অনুদান দিয়ে থাকি । আমরা প্রতিমাসে বিভিন্ন লাইব্রেরী পরিদর্শন করি।
আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার কামাল বলেন , আমাদের স্কুলে লাইব্রেরী আছে এবং লাইব্রেরীয়ান ও আছে । মাঝে মধ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

               

সর্বশেষ নিউজ