সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশ উপজেলা নির্বাচন অফিসটাকে রীতিমত ঘুষের আখড়া বানিয়েছে বলে মেহেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কে এই মেহেদী? খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত সময়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে থাকতেও নাকি এই মেহেদী তার ঘুষ বাণিজ্য চালিয়েছে। যা শত শত মানুষের অভিযোগ। এমনকি তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ জনগন।
এদিকে পলাশ উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, এই মেহেদী একাধিক দালালের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেদীর অনেক অবৈধ সিন্ডিকেট রয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। এমনকি সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে সে উক্ত সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়। তবুও ভোটারদের অনুরোধে ও তাদের বক্তব্যে এই প্রভাবশালী, জালিয়াতকারী, লোভী মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করার আশ্বাস দেন। সংবাদকর্মীরা আরো বলেন, যতদিন না মেহেদীর এই অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ হবে, ততদিন আমরা তার বিরুদ্ধে সরকারী নিয়ম নীতি অনুযায়ী সংবাদ প্রকাশ করব। কাউকে মানহানি করা আমরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য নয়। সত্যতা পেলেই আমরা সংবাদ প্রকাশ করি।
এদিকে রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে মেহেদী থাকাবস্থায় যে দুর্নীতি এবং অনিয়ম করেছে সেসস কর্মকান্ড নিয়ে এক ভুক্তভোগী মোঃ মোস্তফা মিয়া সংবাদকর্মী রুদ্রকে কয়েকদিন বক্তব্য দিলে একটি নিউজ প্রকাশ হয়। যার কারণে বর্তমানে মেহেদী পলাশ উপজেলা নির্বাচন অফিসে বদলী হয়ে গেলেও সে ঐখান থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উক্ত ভুক্তভোগী মোঃ মোস্তফা মিয়াকে অনেক হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সংবাদকর্মীকেও ছাড় দিবে না বলে জানান মেহেদী। এই বিষয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে আগামী সংখ্যায়।
এ বিষয়ে মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নাই। কিন্তু অফিসে থাকা এক দালাল চক্র বলে এগুলো মিথ্যা, অপপ্রচার।
পলাশ উপজেলার নির্বাচন অফিসের অস্থায়ী কর্মকর্তা মেহেদীর অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মী রুদ্র অবগত করলে বিষয়টি তিনি তদন্ত করবে বলে জানান। পলাশ উপজেলার নির্বাচন অফিসারকেও বিষয়টি অবগত করবেন। তদন্ত করে মেহেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।