মোটরসাইকেলের তেল কিনতে গিয়ে পরিমাণে কম পাওয়ার অভিযোগ তুলে যে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন ব্যাংকার শেখ ইশতিয়াক আহমেদ, তার সত্যতা পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ইশতিয়াকের অভিযোগের শুনানি নিয়ে ঢাকার কল্যাণপুরে সোহরাব ফিলিং স্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। নিয়ম অনুযায়ী, ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন অভিযোগকারী ইশতিয়াক।
গত সোমবার নিজের মোটরসাইকেলে অকটেন নিতে সোহরাব সার্ভিস স্টেশনে গিয়েছিলেন ইশতিয়াক। তার অভিযোগ, তাকে ৫ লিটার অকটেনের ভাউচার দেওয়া হলেও বাস্তবে মেপে দেওয়া হয়েছে ৩ লিটার বা তার চেয়ে একটু বেশি।এরপর তিনি ওই ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে।
পরদিন ওই এলাকায় অভিযানে যায় সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।তারা সোহরাব সার্ভিস স্টেশনে দুটি ডিজেলের নজেলে কম দেওয়ার প্রমাণ পেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে।তবে অকটেনের নজেলে কোনো সমস্যা না পাওয়ার কথা জানিয়ে বিএসটিআই কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইশতিয়াকের সঙ্গে এখানে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, যা দেখবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
এদিকে ইশতিয়াক মঙ্গলবারই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়ে রেখেছিলেন। দুই দিন পরই ভোক্তা অধিদপ্তরে শুনানি শুরু হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনানিতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে পেট্রল পাম্পটি ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ধারা ও ৪৮ ধারা লঙ্ঘন করেছে। এই দুই আইনে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অভিযোগকারী ইশতিয়াক মোট জরিমানার ২৫ শতাংশ পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সোহরাব পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ দোষ স্বীকার করে নিয়েছে এবং জানিয়েছে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।’