১৮, অক্টোবর, ২০২৪, শুক্রবার
     

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, টেটাবিদ্ধসহ আহত ৪০ জন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান খান (২৩) এক নিহত,অগ্নিসংযোগ,শত শত বোমার বিস্ফোরন টেটাবিদ্ধ সহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদেও মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

বাকীদেও শরীয়তপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া বড় ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত ওয়াহিদুজ্জামান খান শরীয়তপুর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন খানের ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই সবুজ খান ও পালং থানা সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কওে শরীয়তপুর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরহাদ খার একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার রমিজ খার ছেলে মোদাচ্ছের খা সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।

আজ মঙ্গলবার দুপুওে মোদাচ্ছের খা চিকন্দী বাজারে যান। এ সময় ফোরহাদ খানসহ তার লোকজন মোদাচ্ছের খানকে ধাওয়া করে। এ নিয়ে দুগ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র,সন্ত্র,রামদা ,ছেন দা,টেটা,ভল্লম ও হাত বোমা নিয়ে প্রথমে ধাওয়া পালটা করে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ লোকজন আবুড়া বড় ব্রীজের দক্ষিন পাশের সংষর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এ সময় ওয়াহিদুজ্জামান খান (২৩) কে কুপিয়ে মারাত্নক আহত কওে ।

তাকে উদ্ধার শরীয়তপুর সদও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যওু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা কওে । এ ঘটনায় টেটাবিদ্ধ আনিছ উদ্দিন খান (৭০),রবিউল খান (৪০), মজিবর খান(৪৮),সনিয়া বেগম (২৪), ইয়াকুব তালুকদার (৪৬), আব্দুল খালেক তালুকদার (৮০), মিন্টু সরদার (৪৩), দিদার সিকদার (৪০), রহিমা বেগম (৪০), তারেক মিয়া (৩০),সুহেল খান(৩৬),রহিম মিয়া (৪০),খবির খান (৫০), সহ অন্তত ৪০ জন মারাত্নক আহত হয়েছে। আহত দেও মধ্যে আশংকা জনক অবস্থায় মিন্টু মাদবর ,দিদার সিকদার সহ ৩ জন কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদও হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় উভয় গ্রুপের সন্ত্রসীরা শত শত হাত বোমার বিস্ফোরন ঘটায়। আসলাম উদ্দিন খানের বাড়ীতে অগ্নি সংয়োগ সহ ৫টি বাড়ী ঘওে হামলা করে ভাংচুর করে।

হিতের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন , আমার নিরপরাধ স্বামীকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।
নিহত ওয়াহিদুজ্জামানের বোন হাসিনা বেগম বলেন ,পুলিশের উপস্থিতিতে ফোর হাদ খান , সাইদুল মাদবর ,হাবিবুর মাদবর, আমির হোসেন মাদবর ,মোসলেম মাদবর সহ ৩০/৪০ জন ¯œÍ্রাসীরা আমার ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা কওে ।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরহাদ খার সাথে বার বার চেষ্টা কওে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সংঘর্ষেও ঘটনায় এক জন নিহত সহ অনেকে আহত হয়েছে। এখন ও কোন মামলা হয়নি।

               

সর্বশেষ নিউজ