১৮, নভেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

‘মারে কী জবাব দিবো, ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল’

মারে কী জবাব দিবো? ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল। আমি শেষ হইয়া গেলাম ভাই। এমন ভাবেই বিলাপ করে কান্না করছিলেন চকবাজারে আগুন লেগে মারা যাওয়া স্বপন সরকারের ভাই সজল। । স্বপন সরকার (১৯) দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে গ্লাস ধোয়ার কাজ করতেন। লালবাগে পলিথিন কারখানার আগুনে প্রাণ হারানো ৬ হোটেলকর্মীর। তাদের মধ্যে একজন তিনি। ওমানের যাওয়ার স্বপ্ন ছিলো তার। রাজধানীর চকবাজারের দেবিদাস ঘাট লেনে রবিশাল হোটেলের আগুন তার সেই স্বপ্ন চিরতরে নিভিয়ে দিলো।

ভাইকে হারিয়ে বিলাপ করে কাঁদছিলেন সজল। ফোনে কার সাথে যেন কথা হচ্ছিল তার। ফোনের এ পাশ থেকে বলছিলেন, মারে কী জবাব দিবো? ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল। আমি শেষ হইয়া গেলাম ভাই। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে সাতটার দিকে নিহত স্বপনের ভাই সজলের সাথে কথা হচ্ছিল। পুরান ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালের মর্গের সামনে বসে তিনি বিলাপ করছিলেন।সজল কান্নায় বারবার বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছেন। তাকে দুজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।

সজল বলেন, ‘ভাইয়ের ওমান যাওয়ার কথা ছিল। সব কাগজপত্র হয়েছিল। ভাই আমাকে বলছিল কাল-পরশু মেডিকেল করাবে। শুধু বাকি মেডিকেল। কিন্তু সেটা আর করা হলো না।’ কথাগুলো বলেই আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নিহত ছয়জন একই জায়গায় ছিলেন। চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরিফুল ইসলাম জানান, স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত না হতে পারলে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

               

সর্বশেষ নিউজ