ফতুল্লার পাগলায় এক গৃহবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুতা দিয়ে মুখ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন স্বামী।
নিহত ফারজানা বেগম (২৮) লক্ষীপুর জেলার সদর থানার চর ভোতার মৃত নুর নবীর মেয়ে।
মঙ্গলবার ভোররাত ৫টায় ফতুল্লার পাগলা রসুলপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মোঃ রুবেলকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত রুবেল লক্ষীপুর জেলার উত্তর চর মার্টিনের মোঃ হাসানের ছেলে এবং ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা মধ্য রসুলপুরে হারুনুর রশিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি পেশায় বাস চালক। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
জানা যায়, তিন মাস আগে রুবেল ও ফারজানার বিয়ের হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে। গত সোমবারও বিচার সালিশ হয়।
একই বাসার কয়েকজন ভাড়াটিয়া জানান, ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করে তারা চিৎকার শুনে রুবেলের ঘরে গিয়ে দেখতে পায় তার স্ত্রীর মুখ ও মাথায় পুতার আঘাতে থেঁতলানো রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা জানান, তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। তারপর তারা পাগলা মধ্য রসুলপুরে ভাড়ায় বসবাস করতে শুরু করে। সোমবার নিহতের দুই ভাই পাগলা বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে স্বামী মোঃ রুবেল ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রীর মাথায় ঘরে থাকা পুতা দিয়ে আঘাত করে। এ সময় স্ত্রী চিৎকার করে উঠলে তার ভাই সহ প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারসহ পুতাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।