রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের (৫৫) একাধিক স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তার মরদেহ নিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালের মর্গে হাজির হন সাতজন নারী। তারা সকলেই নিজেকে রুবেলের স্ত্রী বলে দাবি করেছে।
রুবেলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তার আট স্ত্রীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলেন টিপু আক্তার (মৃত), নারগিস (অন্য জায়গায় পরে বিয়ে হয়ে যায়), রেহানা, সাহিদা, সালমা আক্তার পুতুল, তসলিমা আক্তার লতা, পুষ্পা ও আরেকজনের নাম পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে মর্গের সামনে রেহানা, সাহিদা, সালমা আক্তার পুতুল, তসলিমা আক্তার লতা ও পুষ্পা উপস্থিত আছেন। নারগিসের মেয়ে নিপাও এসেছেন বাবাকে দেখতে।
তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই রুবেলের মরদেহ দেয়া হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত মরদেহ বুঝে দেয়া হয় রুবেলের ভাই জিয়ার কাছে। মরদেহ এরপর পাঠানো হয় তার গ্রামের বাড়িতে। সোমবারের দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রুবেলের ছেলে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা রুবেলের মরদেহ বুঝে নিয়েছেন। মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাশেদ জামিল বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়েছে। মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়। নিহতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। বেঁচে যাওয়া দুইজন হচ্ছেন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি। গত শনিবার তাদের বিয়ে হয়।