১৬, নভেম্বর, ২০২৪, শনিবার
     

ঠাকুরগাঁয়ে রুহিয়া থানায় বিএনপির ঐক্য ও সম্প্রীতির সমাবেশ 

ফারুক হোসেন রুহিয়া ঠাকুরগাঁওঃ  দেশ থেকে পালিয়েও চক্রান্তে মেতেছে শেখ হাসিনা। ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার ( ১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, সকলেরই গণতান্ত্রিকভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ  ক্ষমতা থাকাকালে জনগণের মুখ চেপে ধরেছিল। দেশটাকে তারা লুটপাট করেছে। কেউ কথা বললে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। ইতিমধ্যে আমাদের দলের  প্রায় ৭শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের ছেলেকে গুম করে আয়না ঘরে আট ধরে আটক করে রেখেছিলো। আটটি বছর এক ঘরে বহু কস্টে জীবনযাপন করেছে সে। তার অপরাধ সে গোলাম আযমের ছেলে। শেখ মুজিবরের কন্যা এত নিষ্ঠুর  নির্মম হয় কিভাবে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুহিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। আবার তারাই  বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা করেছে। এই হলো আওয়ামী লীগ সরকার। 

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে  বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক রাতেই ১৪টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। আওয়ামী লীগ নিজেরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে। মন্দির ভাঙচুর করে। তাদের সম্পদ লুট করে সেটা বিএনপির উপর চালিয়ে দেয়। জনগণ এখন সবই বুঝে। কারা হামলা চালিয়েছে মন্দিরে। 

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে হিন্দু ভাইদের ঢাল বানিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যখনি তারা হারতে থাকবে, জনগন তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, নির্বাচনে হেরে যাবে, আন্দোলনে হেরে যাবে তখনই তারা বলবে যে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। অথচ শত শত বছর ধরে এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলে এক সাথে বসবাস করে আসছে। আমরা একে অপরের  বাড়িতে বিয়ে, পৌষ পার্বনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাই। তারা যতো ষড়যন্ত্রই করুক, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে। 

মির্জা ফখরুল এর আগে সদরের গড়েয়া ইউনিয়নের ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

রুহিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক পৌর বিএনপির সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদল সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নুর, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, রুহিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মানিক,গোলাম মোস্তফা, মকবুল হোসেন,আব্দুল হক, সিদ্দিকুর রহমান, সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

               

সর্বশেষ নিউজ