২৭, জুলাই, ২০২৪, শনিবার
     

ইসির পাঁচ বছর, অনেক প্রশ্ন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পাঁচ বছর মেয়াদের এ সময়ে তারা বিভিন্ন স্তরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। চলমান আছে আরও দেড় হাজার নির্বাচন। বেশিরভাগ ভোট নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এমনকি সমালোচনা ছিল কমিশনের ভেতরেও।

এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, আইন ও বিধিমালায় সংশোধন এবং ভোটে স্বচ্ছতা আনার-কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারায় মেয়াদজুড়েই সমালোচনার মুখে ছিল ইসি। তবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ তৃণমূল পর্যায়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারসহ আলোচিত কিছু পদক্ষেপও রয়েছে এ কমিশনের।

বর্তমান কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। কমিশনের পাঁচ বছরের মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন কমিশন এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ কমিশন এটি। কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নির্বাচনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ কমিশন নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা ধ্বংসের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

কমিশনারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হয়েছেন। প্রশিক্ষণের নামে টাকা পকেটস্থ করেছেন। অন্যদেরও একই সুযোগ করে দিয়েছেন। অথচ সংলাপে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব পদক্ষেপ নেবেন। বাস্তবে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সব ধরনের পদপেক্ষ নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইন ও বিধিমালা সংস্কারের মাধ্যমে যুগোযোযোগী করতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোন সময়ে কী ধরনের সংস্কার করা হবে-সেই রোডম্যাপও প্রকাশ করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু কাজও এগিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেগুলোর উল্লেখযোগ্য কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।

নির্বাচনের সময়ে অনিয়ম-আচরণ বিধি লংঘনের ঘটনা দেখভালে ‘তৃতীয় চোখ’ নিয়োগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রকাশ্যে টানানো, ভোটকেন্দ্রের আধুনিকায়নের মতো অনেক প্রস্তাব-সুপারিশ আকারেই রয়ে গেছে।

গতানুগতিকভাবে জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন আয়োজন করেছে এই কমিশন। এসব ভোটে ওঠা অভিযোগ নিষ্পত্তিতেও নতুন কোনো উদ্যোগ নেয়নি কমিশন। বেশিরভাগ অভিযোগ উপেক্ষা করায় ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, নির্বাচনের পাশাপাশি আইন সংশোধন কার্যক্রম নিয়েও বারবার সমালোচনা শুনতে হয়েছে বর্তমান কমিশনকে। জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনি আইন-বিধিমালার সংশোধনে পরামর্শকের পেছনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় ২১ বার ভাষাসহ কয়েকটি ছোট বিষয়ে সংশোধনী এনেছে।

তবে কোনো আইন বা বিধিমালায় তেমন মৌলিক পরিবর্তন আসেনি। উলটো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) থেকে প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতাসংক্রান্ত ধারা ৯১ইসহ বেশ কিছু মৌলিক ধারা বাতিলের চেষ্টা করে সমালোচিত হয়েছে।

নির্বাচনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে মোটা অঙ্কের ভাতা নেওয়া, বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসা, কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে কমিশনারদের দূরত্বসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েও পুরো মেয়াদে আলোচনায় ছিল। পাঁচ বছরে মাত্র দুবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পেরেছে। চলতি বছরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করতেই পারেনি।

দুই কমিশনারের বক্তব্য : পাঁচ বছরের মূল্যায়ন জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমরা (নির্বাচন কমিশনার) সবকিছু যথাযথভাবে করার চেষ্টা করছি এবং করেছি। আমরা কিছু সংস্কার কাজ করেছি। আরও কিছু কাজ থেমে আছে। সেগুলো চলমান প্রক্রিয়া। অনেক বাস্তবতা আছে যেগুলো বিবেচনা করতে হয়।

তিনি বলেন, যেসব বিষয়ের সঙ্গে রাজনীতি ও সংবিধান যুক্ত সেগুলোর পরিবর্তন করা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা সংবিধান ও আইন অনুযায়ী কাজ করার শপথ নিয়েছি।

তবে দায়িত্ব পালনে অনেক সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং আন্তরিকভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।

তবে অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের অনেক সীমাবদ্ধতার জায়গা ছিল। অভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর একটি হতে পারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন। এ আইনে ইসি সচিব ও সচিবালয় শুধু সিইসির কাছে দায়বদ্ধ এবং সচিব সিইসির মাধ্যমে কমিশনের কাছে দায়বদ্ধ। নির্বাচন কমিশনের কোন কর্মকর্তা কোথায় বদলি হবেন, কে পদোন্নতি পাবেন এবং কে বিদেশে যাবেন তা সবই নির্ধারণ করেন সচিব ও সিইসি। ফলে কর্মকর্তারা সিইসি ছাড়া অন্য কমিশনারদের সাধারণত ভয় পাবেন না-এটাই স্বাভাবিক।

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, অনেক নির্বাচনে আমাদের কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া বা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু কার্যকর হয়নি। এমনকি কমিশনের অনেক সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও আমাদের জানতে হয়েছে।

বাহিরের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্যক্তিত্বের ওপর কমিশনের পারফরম্যান্স অনেকটা নির্ভর করে।

দেখা গেছে, কোনো এক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনাররা দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক ধরনের কঠোর বার্তা দিলেন, আর সিইসি যদি নরম সুরে কথা বলেন তখন ওইসব কর্মকর্তা সিইসিকেই গণ্য করবেন-এটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের সীমাবদ্ধতাও আছে-যা হয়তো অস্বীকার করা যাবে না।

এছাড়া বাহ্যিক সীমাবদ্ধতার আরেকটি হচ্ছে-রাজনৈতিক দলের কারণে সহিংসতা হলে এর দায় কমিশনকে নিতে হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সেই দায় নিচ্ছে না। নির্বাচনে প্রার্থী, ভোটারসহ সবাই ইতিবাচক দায়বদ্ধতা থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে ভোট আরও উৎসবমুখর হয়। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনি অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আইনের সংস্কার প্রয়োজন আছে।

নির্বাচনি অনিয়ম : জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। ওই দিন সিইসি কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি যে কোনো সরকার বা পক্ষের প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ, আপসহীন ও সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালনেরও প্রতিশ্রুতি দেন। বতর্মান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাড়ে তিন হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই বছরের ৩০ মার্চ কুমিল্লা ও ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই নির্বাচনই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। এরপরের নির্বাচনগুলো নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ২০১৮ সালের ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই দুই সিটিতে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়। ওইসব অনিয়মের বেশিরভাগ ঘটনা তদন্ত করেনি ইসি। এমনকি ওইসব অভিযোগ সুর্নির্দিষ্ট নয় বলেও বক্তব্য দেয় ইসি।

এ কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ, দশম জাতীয় সংসদের সাতটি এবং একাদশ জাতীয় সংসদের ২০টি উপনির্বাচন, ১২টি সিটি করপোরেশন, ৪৫৩টি উপজেলা পরিষদ, ২৫৮টি পৌরসভা ও দুই হাজার ২০০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এখনও চলমান রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে ছিল এ কমিশন।

আইন ও নির্বাচনি সংস্কার : জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করে ইসি। ওই সময়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যাকে প্রাধান্য দেওয়া, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে সংস্কার আনার কথাও জানিয়েছিল ইসি। ওই সংস্কার আর আলোর মুখ দেখেনি। যদিও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়। উলটো বিভিন্ন ধরনের আইন ও বিধিমালা সংশোধনের নামে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

আরও জানা গেছে, বর্তমান কমিশনের সময়ে মোট ২১ বার আইন ও বিধিমালায় সংশোধনী এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন ও বিধিমালায় এ পর্যন্ত ৮ বার সংশোধনী এনেছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপে নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকানো, ব্যয় মনিটরিংসহ বিভিন্ন ধরনের সংশোধনীর সুপারিশ করা হলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি ওইসব সংশোধনীতে। উলটো ঋণ ও বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়ার পথ আরও সহজ করে আরপিও সংশোধন করেছে এ কমিশন।

এছাড়া আরপিও থেকে প্রার্থিতা বাতিলের ইসির ক্ষমতা সংক্রান্ত ধারা ৯১ই সহ কয়েকটি মৌলিক বিষয় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে তা থেকে সরে আসে কমিশন। এ কমিশনের মেয়াদে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দুবার করে সংশোধনী আনে এ কমিশন। সেগুলো হচ্ছে এসব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত। এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালা তিনটি এবং ভোটার তালিকাসংক্রান্ত আইন ও বিধিতে চারবার সংশোধনী আনে।

প্রশিক্ষণ ভাতা ও অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে বিতর্ক : কমিশনারদের মধ্যকার দূরত্ব নিয়ে গত পাঁচ বছরই সমালোচনার মুখে ছিল কমিশন। সিইসির সঙ্গে চার কমিশনারের দূরত্ব এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কয়েকবারের সংবাদ সম্মেলনে আরও বিতর্ক তৈরি হয়। এ

ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ এবং পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ভাতা নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মধ্যে পড়ে এ কমিশন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও ইসির নীতিমালা ছাড়া এ অর্থ খরচ করায় আপত্তি জানায় স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তর।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসাবে ভাতা নেওয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাতা দেওয়া এবং খাত পরিবর্তন করে এসব টাকা ভাতা হিসাবে নেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তৎকালীন মহাপরিচালককে বদলি করে কমিশন সচিবালয়। এছাড়া প্রতিবছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা থাকলেও ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গত দুই বছর ধরে এ কাজটি করতে পারেনি বর্তমান কমিশন।

আলোচিত যত বিষয় : কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে নতুন ধরনের ইভিএম চালু করে এ কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়।

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন মিলিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৩৮টিতে এ মেশিন ব্যবহার করা হয়। এ পর্যন্ত কারিগরি বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া যায়নি। এতে নির্বাচনে ইভিএমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের মতো পরিস্থিতিতেও জাতীয় সংসদের ১২টি শূন্য আসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ২৫০টি পৌরসভা নির্বাচনসহ পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন আয়োজন করেছে এ কমিশন।যুগান্তর

               

সর্বশেষ নিউজ