১৯, মে, ২০২৪, রোববার
     

শ্রীনগরে আলু ফলন নিয়ে শঙ্কা

মোহন মোড়ল,শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে আলু উত্তোলণ শুরু হলেও ফলন ও দাম নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষক। এরই মধ্যে উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, তন্তর ও কুকুটিয়া এলাকায় কিছু কিছু জমিতে কৃষকদের আলু তুলতে দেখা গেছে। স্থানীয় কৃষকরা ধারনা করছেন প্রতি কানি জমিতে (১৪০ শতাংশ) ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ মণ আলু উৎপাদণ হতে পারে। ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা দরে প্রতিমণ আলুর দরদাম হাকাচ্ছেন পাইকাররা। তবে এ দামে এখনই আলু ছাড়তে রাজি নন স্থানীয় আলু চাষিরা। অধিকাংশ কৃষকই বসতবাড়িতে গোলাঘর কিংবা স্থানীয় হিমাগারে উত্তোলণকৃত এসব আলু সংরক্ষণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এ বছর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সার্বিক কারণে জমিতে উৎপাদিত প্রতিমণ আলুর খরচ পড়েছে প্রায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। স্থানীয় হাটবাজারে খুচরাভাবে প্রতিকেজি আলু ১৬ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কুকুটিয়া এলাকার আলু চাষি মো. আলম হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে জমিতে আলু তোলা শুরু করি। আশানুরূপ ফলন হয়নি। অনকাংশেই আলুর সাইজ ছোট হয়েছে। দাম কম থাকায় আলু সব হিমাগারের পাঠাচ্ছি। প্রায় ৪ হাজার বস্তা আলু (৫০ কেজির বস্ত) হিমাগারে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানান তিনি। বীরতারা এলাকার মো. জাহাঙ্গীর নামে এক কৃষক বলেন, আলুর রকম দেখে ধারনা করছি আমার প্রতি কানি জমিতে ৩০০ মণের বেশী আলু উৎপাদণ হবে না। ৫ কানি জমিতে আলুর চাষাবাদ করছি। চলতি মাসের শেষের দিকে পুরোদমে আলু উত্তোলণ শুরু হবে। এই অঞ্চলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আলু উঠানো প্রায় শেষ হয়ে যাবে।

এ বছর আলু মৌসুমের প্রথম দিকেই অসময়ের বৃষ্টিতে আলুবীজ বপনকৃত জমি সব নষ্ট হয়। এতে করে মধ্যবর্তীকালীন সময়ে অতিরিক্ত খরচ করে পুনরায় জমিতে আলুর চাষাবাদে বিড়ম্বনায় পড়েন এলাকার শতশত কৃষক। সার্বিক পরিস্থিতিতে আলুর বর্তমান বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন এমনটাই বলছেন এখানকার আলু চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর আগে অসময়ের টানা বৃষ্টির পানিতে প্রায় ৬০০ হেক্টর আলুবীজ বপনকৃত জমি ডুবে নষ্ট হয়।

               

সর্বশেষ নিউজ