১৯, মে, ২০২৪, রোববার
     

সকলের এক কথা সরকারের পদত্যাগ : গয়েশ্বর

সরকার পতনের আন্দোলনে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি চেয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সকলের এক কথা সরকারের পদত্যাগ। সকলের এক কথা সুষ্ঠু নির্বাচন। এই লক্ষ্যে আমাদের মধ্যে বিভেদ নেই। এখন জাতীয় সরকার নিয়ে কেউ নির্বাচনের আগে এবং কেউ নির্বাচনের পরে। এই তর্কের ও কোনো প্রয়োজন নেই। তাই সরকার পতনের আন্দোলনে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দিন।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারকে উৎখাত করতে না পারলে যে সরকারই চান সেটা হবে না। আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করি। তারপরে সুষ্ঠু নির্বাচন করে, দেশটাকে মেরামত করি। আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থা সঠিক পথে এনে যারা মুদ্রা পাচার করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনি। যারা দুর্নীতি লুটপাট করে দেশটাকে বরবাদ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনি। এজন্য সকলের ঐক্যবধ্য থাকা দরকার। আর ঐক্যবদ্ধের প্রয়োজনে, আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে মেরামত করি। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার চেতনা একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্র জনগণের সামনে উপহার দেই। সরকারের সুবিধাভোগী ছাড়া আমরা ছোট বড় সকল শক্তি একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কথা আর জনগণের কথার মধ্যে একটি মিল রয়েছে। আমরা যেটা করি সেটাই জনগণ চায়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, উপদেষ্টা হাবিবুর রশিদ হাবিব, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সমাজসেবা সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিনের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইঁয়া জুয়েল, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, আব্দুস সত্তার প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সাজিদ হাসান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক তানজিল হাসান, রিয়াদ ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সভাপতি খালিদ হাসান জ্যাকি, উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি রানা আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি পাভেল শিকদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন ভুইঁয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য প্রতীকী অনশনের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পানি পান করিয়ে প্রতীকী অনশন ভাঙান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ।

               

সর্বশেষ নিউজ