১৮, মে, ২০২৪, শনিবার
     

দেশের আগে আইপিএল! বাদ পড়তে পারেন যে ক্রিকেটাররা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে একটা সময় এনিয়ে বেনজির অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। এবার কি সেই পথেই এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাও? জাতীয় দলের ডাক উপেক্ষা করে আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম লেখানোয় এবার দক্ষিণ আফ্রিকার তারকাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হলেন খোদ টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগার এবং কোচ মার্ক বাউচার। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচকরাও এই ক্রিকেটারদের আচরণে বিরক্ত।

এবারের আইপিএল যখন শুরু হলো, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলছে। তারপর খেলেছে টেস্ট সিরিজও। অথচ, দলের যে ৬ তারকা আইপিএলের বিভিন্ন দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তারা টেস্ট সিরিজ না খেলে আইপিএলের দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার সম্মতিতেই অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নেন কাগিসো রাবাদা, মার্কো জ্যানসেন, লুঙ্গি এনগিডি, অনরিখ নোখিয়া, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করামরা। এরা অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। টেস্ট সিরিজে এদের অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগার এবং কোচ বাউচার।

এলগার বলছেন, আমি জানি না ওদের আবার দলে নেবে কিনা। এটা আমার হাতে নেই।
কোচ মার্ক বাউচার বলেন, ওরা আইপিএল খেলতে চলে গেল। ওদের শূন্যস্থান পূরণ করাটা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আসলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও এই ৬ ক্রিকেটার যেভাবে দেশের আগে আইপিএলকে বেছে নিয়েছেন, তাতে অসন্তুষ্ট টিম ম্যানেজমেন্ট।

শোনা যাচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীও নাকি খুব একটা খুশি নয় রাবাদাদের কাণ্ডে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে প্রোটিয়া তারকাদের জাতীয় দলে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল।

শুধু প্রোটিয়ারা নন, দেশের সঙ্কটের সময় আইপিএল খেলতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো শ্রীলঙ্কার তারকাদেরও। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা বলছেন, দেশের এই সঙ্কটের সময় কিছু ক্রিকেটার আরাম-আয়েসে আইপিএল খেলছেন। ওরা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলছে না কারণ ওদেরও ক্রিকেট বোর্ডের কাজ করতে হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের উচিত আইপিএল ছেড়ে দেশের কাজে নামা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

               

সর্বশেষ নিউজ