২৭, জুলাই, ২০২৪, শনিবার
     

ভারতে টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২০ মে) টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়- ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, চাঁদ মিয়া, মো. আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মো. বাবু শেখ, মো. ডালিম ও আজিম হোসেনসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।

হৃদয়

এছাড়া তানিয়া খান ও মো. জামালকে যথাক্রমে ২০ বছর এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় আরও দুই নারী আসামিকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে বহুল আলোচিত যৌন-নিপীড়নের এই ঘটনার একটি ভিডিও দুই দেশে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তবে মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়। তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

২০২১ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরু শহরের কানাকা নগরে এক নারী যৌ ন নিপীড়নের শিকার হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অপরাধ সংঘটনের ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং তিন মাসে বিচার শেষ করা হয়।

এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

               

সর্বশেষ নিউজ