২৭, জুলাই, ২০২৪, শনিবার
     

নড়িয়ায় পুলিশের সহায়তায় মাদক বিক্রির অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চনপাড়া এলাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় মাদক বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে পুরো এলাকা। উঠতি বয়স থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের হাতের নাগালে পৌঁছে গেছে মাদকের ছোবল। নড়িয়া থানার এসআই মোস্তফা কামালের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসে মাসে মাসোহারা নিচ্ছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। মাদক বিক্রির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে কাঞ্চনপাড়া বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বাজার ব্যবসায়ীসহ বিভিণœ শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মতিনুর তালুকদার, সাবেক মেম্বার স্বপন বেপারী, জাকির ঢালী, মনির ঢালী, মোতালেব হাজী, কামাল বেপারী, কাওসার বেপারী, আক্তার মৃধা, বাদল ঢালী প্রমুখ।

এ সময় মিছিলকারীগণ অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় কাঞ্চনপাড়া বাজারে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে দীর্ঘদিন যাবত। তাদেরকে নিষেধ করলে তারা কোন তোয়াক্কা করেনা। প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনাটি নড়িয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে তারা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে হুমকি দেয়। বক্তারা মাদক ব্যবসায়ীদের নড়িয়া থানার এসআই মোস্তফা কামাল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

তারা জানান, ৭ আগস্ট রাতে জলিল খন্দকারের পুত্র মুবিন খন্দকার তার সহযোগীদের নিয়ে স্থানীয় একটি বাগানে মাদক সেবন করতেছিল। এসময় স্থানীয় মেম্বার মতিনুর তালুকদারের নেতৃত্বে মুরব্বীরা তাদেরকে মাদক সেবনে বাধা প্রদান করেন।

এসময় মাদক সেবনকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। বিষয়টি নড়িয়া থানায় অবহিত করা হলে থানার এসআই মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে এসে মাদক সেবনকারীদের আটক না করে উল্টো মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে এলাকাবাসীদের গালিগালাজ করে এবং বিভিণœ মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখায় এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে চলে যায়। পুলিশ কর্মকর্তার এরকম কর্মকান্ডে স্থানীয় সুশীল সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তারা।

বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ কাজি বলেন, মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না। বরং অভিযোগকারীদেরকে শাসন করতে চায়। কাঞ্চনপাড়া এলাকার মাদক ব্যসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাই।

এ বিষয়ে এসআই মোস্তফা কামাল মুঠোফোনে মাসোহারা নেয়ার কথা অস্ববীকার করে বলেন, আমি মাদকব্যবসায়ীদের কোন প্রকার সহযোগিতা করি নাই। নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, কঞ্চনপাড়া এলাকার মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

               

সর্বশেষ নিউজ