এজিয়ান সাগরে সামরিক মহড়ার শেষ দিনে গ্রিসের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান। দেশটির উদ্দেশ্য তিনি বলেছেন, এমন স্বপ্ন দেখা বাদ দিন যার কারণে পরে আফসোস করতে হবে। আমি মোটেই মজা করছি না। আমি অত্যন্ত জোর দিয়েই এ কথা বলছি।
আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, এজিয়ান সাগরে গ্রিস সামরিকিকরণ করছে বলে বহু দিনের অভিযোগ তুরস্কের। বৃহস্পতিবার ছিল তুরস্কের ওই মহড়ার শেষ দিন। এ দিনকেই এরদোগান গ্রিসকে সাবধান বার্তা দিতে বেছে নিয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশ থেকে দেয়া তার ভাষণ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এতে তিনি গ্রিসের উদ্দেশ্যে বলেন, এমন সব স্বপ্ন দেখা, কর্মকাণ্ড কিংবা বিবৃতি দেবেন না যা নিয়ে পরে আফসোস করতে হয়। বাস্তবতায় ফিরে আসুন।
এজিয়ান সাগরে গ্রিসের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর নিন্দা জানান এরদোগান। তিনি একে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন।
এরদোগান বলেন, গ্রিসের প্রতি আমি এখানকার দ্বীপগুলোতে অস্ত্র মোতায়েন বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যা আছে, তা অনুসরণ করতে হবে। আমি মজা করছি না, জোর দিয়ে বলছি। তুরস্ক এখন এ নিয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। উল্লেখ্য, তুরস্ক এবং গ্রিস উভয়েই সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু তারপরেও এই দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে দুই দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিকবার মুখোমুখী অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।
তুর্কি নেতা বলেছেন, ‘আমরা গ্রিসকে এমন স্বপ্ন, বিবৃতি এবং কর্ম থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করি যা তাদেরকে অনুশোচনার দিকে নিয়ে যাবে, যেমনটি এক শতাব্দী আগে হয়েছিল, এবং তাদেরকে জ্ঞানে ফিরতে হবে।” একশ বছর আগে, তুরস্ক গ্রীসকে পরাজিত করেছিল তিন বছরের যুদ্ধের পরে যেখানে গ্রীক সেনারা পশ্চিম তুরস্কে আক্রমণ করেছিল।
গত ২০শে মে এজিয়ান সাগরে মহড়া শুরু করে তুরস্ক। এতে অংশ নেয় ১০ হাজার সেনা। আমন্ত্রণ জানানো হয় আরও ৩৭ দেশের সেনাবাহিনীকেও। একে উস্কানি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এথেন্স।