ওয়ানডে সিরিজে তৃতীয়বারের মতো ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ ও ২০২০ সালের পর আবারও বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ক্যারিবীয়রা। প্রতিবারই সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
শুধু হোয়াইটওয়াশই করেনি বাংলাদেশ, উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে টানা ১১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের।
ক্যারিবীয়দের দেয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ১৩ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আলজারি জোসেফের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শান্তর বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। যদিও লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় নিতে হয় গুডাকেশ মটির বলে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ (৫২) রান করেন।
তামিমের ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৬২ বলে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। বরাবর ৫০ (৬৫) রান করে গুডাকেশের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেও জয়ের ভীত গড়ে দেন লিটন।
আফিফ হোসেনের ব্যাট এদিন হাসেনি। ২ বলে খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগে গুডাকেশের বলে বোল্ড হয়ে। এর পর মোসাদ্দেক হোসেন ১৯ বলে ১৯ রান করে ফেরেন গুডাকেশের বলে ক্যাচ দিয়ে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ২৬ রান করতে খেলেন ৬১ বল। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরানের বলে ক্যাচ দেন উইকেট-রক্ষক শাই হোপের হাতে।
রিয়াদ বিদায় নিলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়ে নুরুল হাসান সোহান দলকে জয় এনে দেন ১ ওভার ৩ বল বাকি থাকতে। সোহান ৩২ (৩৮) ও মিরাজ অপরাজিত থেকেছেন ১৬ (৩৫) রানে।