১৭, নভেম্বর, ২০২৪, রোববার
     

ইরাকের পার্লামেন্ট দখলে নিল মুকতাদার সমর্থকরা

কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও ইরাকের পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী। হামলাকারীদের অধিকাংশই ইরাকি নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারী।

বুধবার দেশটির রাজধানী বাগদাদের উচ্চ সতর্কতাযুক্ত এলাকা গ্রিন জোনে অবস্থিত ওই পার্লামেন্ট ভবন দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর আলজাজিরা।

দেশটির শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন দেয়ার প্রতিবাদে তার দলের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় বাগদাদের পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালায় ইরাকি শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারীরা। পার্লামেন্ট ভবনটি বাগদাদের সুরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত গ্রিন জোনে অবস্থিত।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বুধবার বিক্ষোভকারীরা যখন সরকারি ভবন ও কূটনৈতিক মিশনের এলাকা রাজধানীর উচ্চ নিরাপত্তাবলয় হিসেবে পরিচিত গ্রিন জোনে প্রবেশ করে, তখন পার্লামেন্টে কোনো আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিল না। এ সময় শুধু নিরাপত্তা বাহিনী ভবনের ভেতরে থাকলেও তারা বিক্ষোভকারীদের তুলনামূলক সহজেই সেখানে প্রবেশ করতে দেন।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। তিনি ইরাকের সাবেক একজন মন্ত্রী এবং সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর। তবে বিক্ষোভকারীরা মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির এই প্রার্থিতার বিরোধিতা করছেন।

মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানিকে দেখা হয় ইরানপন্থি সমন্বয়ক ফ্রেমওয়ার্কের সমর্থক হিসেবে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি বিক্ষোভকারীদেরকে অবিলম্বে গ্রিন জোন থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশী মিশনগুলোকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর। যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা রক্ষা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করবে তারা।

উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। তাতে ৩২৯ আসনের মধ্যে মুকতাদা আল সদরের ব্লক ৭৩ আসনে বিজয়ী হয়। এর মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে তারা সবচেয়ে বড় অংশ হয়ে ওঠে। ওই ভোটের পর নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে আছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আল সদর।

বুধবার তার ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছে জনতা। বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান করবে না বেরিয়ে আসবে সেটা তাদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন আল সদর।

বিক্ষোভকারীরা সিমেন্টে তৈরি দেয়াল ভেঙে পার্লামেন্টে প্রবেশ করে। অনেকে ওই এলাকার গেটগুলোর নিরাপত্তা ভেদ করে প্রবেশ করে। এ সময় তাদেরকে বিরত রাখার জন্য জলকামান ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা গ্রিন জোনের প্রধান অংশ দিয়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা পালামেন্ট ভবনের বিভিন্ন দরজার বাইরে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন– ‘আল সুদানি, আউট’।

               

সর্বশেষ নিউজ