যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের একদিন পরেই ক্ষিপ্ত চীন দ্বীপটির উপকূল-জুড়ে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে। তাতে রকেট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) চীন তাইওয়ানের দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তর উপকূলীয় জলসীমার কাছে মোট ১১টি দংফেং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম তাইওয়ানের আশপাশের জলসীমায় একাধিক দংফেং সিরিজের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তাইপে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফাং এর আগে বলেন, স্থল থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।তবে ঠিক কোন জায়গা থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বা এসব তাইওয়ানে দিকে ছোড়া হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। চীনের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে যেসব ফুটেজ প্রচার করা হচ্ছে তাতে মহড়ায় যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা হয় এরকম সমরাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। এর জবাবে তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে রেখেছে। তাইপে বলছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান প্রণালীর এমন সব জায়গায় চীনা এই মহড়া চলছে যা বিশ্বের ব্যস্ততম সমুদ্রপথ যেখানে দিয়ে প্রতিদিন বহু জাহাজ চলাচল করে। ব্লুমবার্গের এক পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বে কন্টেইনারবাহী যতো জাহাজ চলাচল করে তার প্রায় অর্ধেক এবং বড় বড় জাহাজগুলোর ৮৮ শতাংশই তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাওয়া-আসা করে।