শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের জাজিরার বড় গোপালপুর ইউনিয়নে দেবরের ধর্ষণে বিধবা ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল শনিবার জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দেবরকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরার বড় গোপালপুর ইউনিয়নে ভুক্তভোগীর স্বামী গত প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে মারা যায়। মারা যাওয়ার সময় একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রেখে যায় বিধবার স্বামী। এর পর থেকেই তার আপন দেবর মোঃ মামুন মাদবর তাকে বিভিন্ন সময় নানান কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
গত ২০২২ সালের ৫ ফেরুয়ারী দেবর মামুনের স্ত্রী সন্তানরা ঢাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় দেবর ভুক্তভোগী বিধবাকে জোরপূর্বক নিজের ঘরে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী বিধবাকে ভয়ভীতি দেখালে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
ফলে ভুক্তভোগী বিধবা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়লে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটু সরদার গতকাল শনিবার রাতে বিধবা মহিলাকে চৌকিদারদের মাধ্যমে জাজিরা থানায় পাঠিয়ে দেন। জাজিরা থানায় মামলা হওয়ার পর শনিবার রাতে মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে বড় গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটু সরদার বলেন, আমি খবর পেয়ে মহিলাকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি, তবে মহিলা একেক সময় একেকজনের নাম বলে বিধায় বিষয়টি সন্দেহজনক।
ভুক্তভোগী মহিলা এর আগে এই ঘটনায় জড়িত বলে অন্য কয়েকজনের নাম বললেও পরবর্তীতে তার আপন দেবরের কথা বলে। এ সময় ভুক্তভোগী ওই মহিলা জানায়, তার দেবর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যদের নাম বলার জন্য বল চাপ দেয়ায় এর আগে তিনি অন্যদের নাম বলে।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শনিবার রাতে আসামি মোঃ মামুনকে গ্রেফতার করি। নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেছি। আসামিকে আজ রোববার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।