৭ কোটি মানুষকে দরিদ্র রেখে বেহেশতে থাকা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। জনগণের দুর্দিনে সরকারকে ‘ক্ষতিকর’ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জেএসডি সভাপতি বলেন, সরকারি হিসাবে দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে আর চার কোটির মতো মানুষ দরিদ্র হওয়ার চরম ঝুঁকিতে থাকায় নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক জীবন ব্যবস্থায় ‘আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি’ বলা কোনক্রমেই বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহানুভূতি বা সহমর্মিতা বোঝায় না।
এতে দেশের প্রকৃত চিত্রও প্রতিফলিত হয় না। বরং অঢেল সম্পদ বা ক্ষমতার অধিকারীদের এহেন উক্তি অসহায় ও নিঃস্ব দেশবাসীর প্রতি বিবেকবর্জিত অবজ্ঞা, অবহেলা প্রদর্শন ও বিদ্রুপের শামিল। রবিবার(১৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আসম রব বলেন, যেখানে নিত্য পণ্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্য ঘাটতি, সম্পদের অপর্যাপ্ততা, দুর্দশাগ্রস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, স্বল্প আয়ের কারণে জনজীবন বিপন্ন এবং মানবাধিকার যখন চরম সংকটে উপনীত, তখন শাসকদের অবাস্তব বয়ান নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।
দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য যখন সরকার আইএমএফসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঋণ ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে, তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে বলা কোনোক্রমে বিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য নয়। এসব বক্তব্য জনজীবনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। জনগণের সঙ্গে শাসকদের সম্পর্ক না থাকায় রাজনীতিতে নৈরাজ্যের জন্ম দিচ্ছে। এটা কোনভাবেই সুস্থ রাজনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।
তিনি বলেন, সরকারকে অনতিবিলম্বে ডলার, বাজার ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ, কৃষি উৎপাদনে ভর্তুকি ও হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দিতে রেশনিংয়ের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।