নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ব সংকটে আছে, বাংলাদেশ সংকটে নেই। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটে আছে, বাংলাদেশ সংকটে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতা। বিশ্ব সংকটে শেখ হাসিনা এক সাহসী উচ্চারণ। শেখ হাসিনার জীবনে আর কী সংকট আছে? তিনি বাবা-মা, ভাইবোনসহ আপনজনদের হারিয়েছেন। তার কষ্ট চেপে রেখে প্রতীজ্ঞা করেছেন- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোনো প্রতিবাদ হয়নি! তারা ভুল করছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পুরো বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে যায়- সেটিই প্রতিবাদ। প্রথম প্রতিবাদ হয় টুঙ্গিপাড়ায়। বুলেটের সামনে প্রতিবাদের মুখে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদায় দাফন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশে কাঁদতে দেয়নি, মুজিবের নাম উচ্চারণ করতে দেয়নি; সেই বাংলাদেশে আজ মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটিই সবচেয়ে বড় জয়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডকে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বলেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনা তারা উপস্থাপন করেছিল; দীর্ঘ ৪৭ বছরেও সেটি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। সত্য ছাড়া তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রগতি ও আলোর পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে; অন্যদিকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া দেশকে উল্টোপথে- দুর্নীতি ও লুটেরার দিকে নিয়ে গেছে। দারিদ্র্য থেকে দেশকে আরও দারিদ্র্য বানিয়েছে। কিছু লোক দারিদ্র্যকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জালিয়াতি দিয়ে কোনোকিছু করা যায় না- তা প্রমাণিত।