কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে সৈয়দ মাস উদ রুমী সেতুর টোলের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মচারীদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে । আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় টাকা ছিনতাইয়ের ও অভিযোগ উঠেছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। টোল প্লাজার কর্মচারীরা জানান,‘বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার দিক থেকে শতাধিক মটর সাইকেল বহর নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আসছিলো। তাদের থামার জন্য সংকেত দিলে তারা না থেমে জোরে মটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় তাদের থামিয়ে টোলের টাকা চাওয়ায় ছাত্রলীগের বাকি নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল থামিয়ে এক কর্মচারীকে মারধর শুরু করেন। পরবর্তীতে তাদের বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিলে অন্য কর্মচারীদের পেটান ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্মচারীরা আরও জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করে দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে মোটর-সাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে।
তবে ছনতাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কুমারখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমূল। তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের শোকসভায় যাওয়া হচ্ছিল। দেরি হয়ে যাওয়ায় দ্রুত টোল প্লাজা পার হচ্ছিলাম। এ সময় কর্মচারীরা বাঁধা দেয়। ছাত্রলীগের পরিচয় দেওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে কটূক্তি করে। এতে ছাত্রলীগের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজনকে মারধর করে তারা। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়।’ এ বিষয়ে সেতুর টোলপ্লাজার ইজারাদার পারভেজ আনোয়ার তনু মুঠোফোনে বলেন, ‘কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা জানিনা। সেখানে সিসিটিভি আছে। ফুটেজ দেখলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে আমাদের অনেক কর্মচারী আহত হয়েছেন। এখনই কিছু বলতে চাইনা।’
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাথে টোল-কর্মীদের হাতাহাতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’