করোনা মহামারি মোকাবেলায় পর্তুগালের সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা তেমিদো পদত্যাগ করেছেন। ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী আন্তনীয় কস্টার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের অসন্তোষে করোনা পরবর্তী অচলাবস্থার জন্য তিনি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের বেতন ভাতা, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, কাজে বাধ্যবাধকতা এবং পেশাগত স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক এবং এ বিষয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়াসহ ২৯ আগস্ট চিকিৎসা অবহেলার কারণে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর পর তিনি পদত্যাগ করলেন।
মারতা তেমিদো ২০১৮ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। করোনা মহামারিকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন স্বাস্থ্য খাতের সাথে অর্থনীতির সমন্বয় করতে ব্যর্থ ছিল, সেখানে তিনি পর্তুগালের স্বাস্থ্য খাতের সবগুলো বিষয় সাফল্যের সাথে সমাধান করেন। ফলে তিনি সরকারের মন্ত্রিসভা এবং জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
তিনি যে সরকার প্রধানের কাছে কতটা আস্থাশীল ছিলেন তার আভাস পাওয়া যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার উত্তরসূরী নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে। তিনি বলেন, মারতা তেমিদোর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়নি। সুতরাং এই দায়িত্বে নতুন মুখ নির্ধারণে কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে দলীয় মুখপাত্র জানান, আমরা দুঃখজনকভাবে যোগ্য লোককে হারিয়েছি।
বিরোধীদলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফার্নান্দো লিয়াল দা কস্তা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হলেও সমস্যার সমাধান দ্রুতই হবে না। কেননা সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের, মারতা তেমিদোকে সবাই মনে রাখবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে।
মারতা তেমিদো পর্তুগালের শিক্ষা শহর খ্যত কুইমরা জেলায় ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনায় কুইমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং আইন বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাছাড়া তিনি নোভা ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণের আগে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে পরিচালক পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।