১৮, নভেম্বর, ২০২৪, সোমবার
     

লিজ ট্রাসের সামনে ‘ঘরে-বাইরে’ নানা চ্যালেঞ্জ

নানা চড়াই উতড়াই পেরিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছেছেন লিজ ট্রাস। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।

তাৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আধুনিকীকরণের উদ্যোগ এবং কনজারভেটিক পার্টির ভাবমূর্তি পুনর্নির্মাণে ক্ষেত্রে তার আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে ওঠে। তখন থেকেই লিজ ট্রাস নিজেদের রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করে টিকে থাকার একজন সৈনিক হিসেবে নিজের ভামমূর্তি গড়ে তুলেছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির এমপি হিসেবে রাজনীতির মহাসড়কে পা রাখা লিজ ট্রাস আজ রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ মুকুটটিও ছিনিয়ে নিলেন।

মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার কষাঘাত
এমন সময় লিজ ট্রাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন, যখন মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার কবলে জর্জরিত ব্রিটেনের অর্থনীতি। দেশটির ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সংকট, পানি সংকট ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী পদে প্রচারণার সময়ই ট্রাস বারবার মুখোমুখি হয়েছেন জীবনযাত্রার খরচ-সঙ্কট মোকাবেলার জন্য তার পরিকল্পনার রূপরেখা কেমন হবে সেই প্রশ্নের। কারণ দেশটিরত মুদ্রাস্ফীতি দ্বিগুণ অংকে পৌঁছেছে এবং জ্বালানির দামও আকাশ ছোঁয়া।

অবশ্য নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে লিজ ট্রাস রোববার বলেছিলেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিল মোকাবেলা এবং সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তবে সহায়তা প্যাকেজ ছাড়া এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না বলেই তার পূর্বসূরি বরিস জনসন গত মাসে ডেইলি মেইলে এক নিবন্ধে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ
তবে শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় লিজ ট্রাস এমন সময় ব্রিটেনের হাল ধরলেন, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্বেই চলছে অস্থিরতা।

বরিস জনসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসকে ‘বরিস জনসনই চালাচ্ছিলেন’। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তিনি সম্ভবত ‘আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আরও শক্তি প্রদর্শন করবেন’ বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দলীয় ঐক্যতা
এ তো গেল দেশে কিংবা বিদেশের খবর। লিজ ট্রাসের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেজ্ঞ খোদ কনজারভেটিভ পার্টির সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা। সম্প্রতি এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৪ শতাংশ মনে করেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে কোনো ঐক্যতা নেই। সম্প্রতি কয়েকটি বিষয়ে অবশ্য দলীয় কোন্দলের প্রমাণও মিলেছে। এখন দেশ-বিদেশের নানা চ্যালেঞ্জ সামলে দলকে কতটা ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন লিজ ট্রাস সেটাই দেখার বিষয়।

               

সর্বশেষ নিউজ