আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের কোনো লক্ষ্য ছিল না। কোথায় যাব সে সম্পর্কে আমরা জানতামও না। কোনো প্ল্যানিং ছিল না। আমরা নিজেদের মনে করতাম ভিক্ষুক। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে রাজধানী আগারগাঁও বিআইসিসিতে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ : রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটা সময় আমাদের সরকার বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত দুর্ভাবনায় থাকত। আমাদের আগামী বছরের যে বাজেট হবে, সেজন্য কোন দেশ কত টাকা ভিক্ষা দেবে, এ ভিক্ষা আনার পরে, ঠিক করতাম ভিক্ষা কীভাবে খরচ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যখন সেবামূলক সরকার গঠন করলেন। তিনি একটি নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। তিনি লক্ষ্য সেট করেছেন ২০২১, ২০৩১, ২০৪১ সাল পর্যন্ত।
আনিসুল হক বলেন, এই লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ডিজিটাইজেশন। ডিজিটাইজেশন যখন শুরু হলো তখন সরকার চেষ্টা করল দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা। তখন এর পাশাপাশি অনেকে ভাবলেন এটাকে ব্যবহার করে নিজে অপরাধ করে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়। তখনই অধিকার সুরক্ষার ও অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য আইন প্রণয়নের প্রশ্ন ওঠে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন ও পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হোসেন প্রমুখ।